নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জলপাইগুড়িঃ জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের শিঙ্গিমারি সংলগ্ন বুড়ির বাড়ির এলাকায় এক মহিলা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তান জন্ম দেওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এরপর প্রায় তিন মাস আগে আত্মঘাতী হয়েছিল। এবার ওই প্রতিবন্ধী সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যা করল বাবা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাত মাস আগে দীপা রায় ও দীপক রায় নামে এক জন দম্পতির কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে সন্তানটি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছিল। আর এরপর থেকে দীপা এবং দীপক মানসিক অবসাদের শিকার হয়। মাস তিনেক আগে শিশুটির মা আত্মহত্যা করে। তারপর থেকে দীপক আরো মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তবে দীপা মারা যাওয়ার পরে নিজেই সন্তানকে দেখাশোনা করতেন।
কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে ঘরের দরজা না খোলায় তার পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু তাতেও দরজা না খোলায় অতঃপর পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দীপকের ঝুলন্ত দেহ দেখেন। আর শিশুটির নিথর দেহ পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর ময়নাগুড়ি থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পাশাপাশি মৃতের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরিবারের দাবী, “দীপা মারা যাওয়ার পর থেকেই সন্তানকে নিয়ে যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় ছিল। সন্তানকে দেখভাল করবে কে, এই নিয়ে চিন্তা ছিল। আর স্ত্রীর মৃত্যুও মেনে নিতে পারেনি। সেই কারণে সন্তানকে মেরে আত্মহত্যা করেছে।” আপাতত পুলিশ গোটা বিষয় তদন্ত শুরু করেছেন।