চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ কলকাতা মেডিকেল কলেজে ছাত্র সংসদ গঠন নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা। একদল বলছে, পক্ষপাতদুষ্ট কার্যকলাপ, অন্যদল বলছে, প্রার্থী না থাকায় হাহাকার।
মূলত, কলকাতা মেডিকেল কলেজে ছাত্র সংসদ গঠনের পালা। ব্যালটে ‘মতামত’ জমা হওয়ার পর ক্ষণিকের মধ্যে গণনাপর্ব শুরু হবে। মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু রাজ্যে ছাত্র পরিষদের নির্বাচন ঝুলে রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের নানা সমস্যা, আপদে-বিপদে তাদের পাশে দাঁড়ানো, নবীনদের জন্য অনুষ্ঠান আয়োজনের মতো একাধিক কাজের দায়িত্ব নেওয়ার লোকের অভাব ঘটছে।
সাধারণ ভাবে এই সকল কাজগুলির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত ছাত্র পরিষদের উপর দায়িত্ব থাকে। এমতাবস্থায়, নির্বাচন নয় বরং মতামতের মাধ্যমে সংসদ গঠনই একমাত্র ভরসা। তাই জাতীয় মেডিকেল কমিশনের নীতি মেনেই এদিন কলকাতা মেডিকেল কলেজে ছাত্র সংসদ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, আরজি কর আন্দোলনের সময় তৃণমূলের মদতে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন WBJDF এর পাল্টা WBJDA বা ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন তৈরী হয়েছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এবার কলকাতা মেডিকেলে ছাত্র সংসদ গঠনের তোড়জোড় শুরু হতেই WBJDA-এর দাবী, ‘‘ছাত্র ইউনিয়ন গঠনের নামে প্রহসন চলছে। অধ্য়ক্ষ নির্দিষ্ট দু’টি সংগঠন যথাক্রমে AIDSO ও MCDSA কে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। এর জেরে WBJDA সংসদ গঠনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।’’ পাশাপাশি, ছাত্র সংসদ গঠনে গলদ এবং পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষের পদত্যাগেরও দাবী তোলা হয়েছে।
পাল্টা তৃণমূল সমর্থিত WBJDA এর দাবীকে কার্যত গুরুত্ব না দিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, ‘‘চাক্রী করি, প্রশাসন বললে চলে যাবে।’’ অন্যদিকে, পক্ষপাতের অভিযোগ ওঠা সংসদ গঠনে অংশগ্রহণকারী দুই সংগঠন AIDSO এবং MCDSA এর দাবী, ‘‘কলকাতা মেডিকেল কলেজে WBJDA এর কোনো ভিত্তি নেই। সমর্থন না থাকার কারণেই সংসদ গঠনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি। এটা গণতন্ত্রের উৎসব। তৃণমূল ওদের থ্রেট কালচার চালাতে না পারায় এই সব করে আটকানোর চেষ্টা করছে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here