অমিত জানাঃ হাওড়াঃ হাওড়া থানা এলাকায় পরপর দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার গভীর রাতের অন্ধকারে হাওড়া থানার অন্তর্গত দশ নম্বর হাটলেন এলাকায় দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে।
জানা গিয়েছে, একটি মোবাইল ফোনের দোকানে চুরি হয়। সেখান থেকে নগদ কয়েক হাজার টাকাসহ বেশকিছু দামী মোবাইল চুরি হয়। এই মোবাইলের দোকানের মালিক কৃষ্ণপ্রসাদ অভিযোগ করেন, ঘটনাটি বুধবার রাত ২ টো থেকে ৩ টের মধ্যে ঘটে। এই ঘটনায় তিনি হাওড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার সকালে তার কাছে খবর যায় যে তার দোকান ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। এই ঘটনায় হাওড়া থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereকৃষ্ণপ্রসাদ আরো জানান, দোকানের আশেপাশের মানুষই এই কাজ করেছে। প্রায় পঁচিশ তিরিশ হাজার নগদ টাকা সহ কয়েক লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি হয়। নতুন ফোন আট-দশটি আর পুরোনো ফোন পঁচিশটি ছিল। সব ফোনই 4G সেট ছিল। সব চুরি হয়ে গেছে। তবে তিনি জানান যে, ওই এলাকায় কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। এখানে দশ বছর ধরে দোকান করছি। কোনোদিন চুরি হয়নি। কিন্তু এবার হল।
এই ঘটনার পাশাপাশি হাওড়া থানার অন্তর্গত ১৩ নম্বর রামেশ্বর মালিয়া লেনে একটি মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। এর আগেও বারবার মন্দিরের ভেতর থেকে প্রণামী বাক্স সহ গোপালের মূর্তি চুরি হয়ে যায়। বুধবার গভীর রাতেই এই মন্দিরের ক্যাশবাক্স চুরি হয়েছে। এখানে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও চুরি করে নিয়ে যাওয়া দুষ্কৃতীদের ছবি ধরা পড়েনি।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এই ঘটনায় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা হাওড়া থানায় অভিযোগও করেন। তারা বলেন গত একমাসে তিনবার মন্দিরের ক্যাশবাক্স ও গোপালের মূর্তি চুরি হয়েছে। তাই মন্দিরের পুরোহিত এবং এলাকার বাসিন্দারা মিলে মন্দিরের ভেতরে গোপালের মূর্তিকে চেন তালা দিয়ে বেঁধে রাখে। তাই এবারে গোপালের মূর্তি চুরি না গেলেও মন্দিরের ক্যাশবাক্স চুরি হয়ে গেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereপরপর এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া থানার পুলিশ।