নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কাঠমাণ্ডুঃ ফুচকা খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ নিতান্তই কম। কিন্তু এবার সেই ফুচকাই কাঠমাণ্ডু ভ্যালির ললিতপুর মেট্রোপলিস শহরে নিষিদ্ধ গেল। কারণ এই ফুচকা খেয়েই বারো জন কলেরা সংক্রমণে সংক্রমিত হয়ে পড়েছেন।
ললিতপুর মেট্রোপলিটন সিটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ফুচকার জলে কলেরার ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছে। মিউনিসিপ্যাল পুলিশ প্রধান সীতারাম হাচেথু জানান, “ভিড় এলাকা ও করিডর এলাকায় ফুচকা বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করার সম্পূর্ণ চেষ্টা চলছে।
এর জন্য আভ্যন্তরীণ সমস্তরকম প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ভ্যালিতে কলেরা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য এবং জনসংখ্যা মন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভ্যালিতে আরো সাত জন কলেরা সংক্রমিত হয়েছেন। অর্থাৎ এই নিয়ে মোট বারো জন কলেরা সংক্রমিত হয়েছেন।”
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে এপিডেমিওলজি অ্যান্ড ডিজিজ কন্ট্রোল বোর্ডের পরিচালক চুমনলাল দাসের মতে, “কাঠমাণ্ডুতে কলেরার পাঁচটি, চন্দ্রগিরি মেট্রোপলিস ও বুধনীলকান্ত মেট্রোপলিসে একটি করে কেস চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমানে সংক্রমিতরা টেকুর শুকরাজ ট্রপিক্যাল এবং ইনফেকসিয়াস ডিজিস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কলেরা সংক্রমিত পাঁচটি রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। যার মধ্যে দুই জন সংক্রমিত ব্যক্তিকে চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রকের তরফ থেকে জনগণকে অনুরোধ করা হয়েছে যে কলেরার উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হবে। গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালে কলেরা, কলেরা ও অন্যান্য জলবাহিত রোগ ছড়ায় তাই অতি অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত।