নিজস্ব সংবাদদাতাঃ অন্ধ্রপ্রদেশঃ গত রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর শহরে ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মারার ঘটনায় গোটা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই ভয়াবহ ঘটনাটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, ওই ছাত্রী কাকানি রোড ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এমন সময় বাইক আরোহী এক যুবকের সঙ্গে দেখা হলে যুবকটি বাইকে উঠতে বললে ওই ছাত্রী নারাজ হওয়ায় তর্কাতর্কি শুরু হয়। ঠিক তখনই যুবকটি ছুরি বার করে মেয়েটির ঘাড়ে ও পেটে একের পর এক কোপ মারতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তা দেখতে পেয়ে ছুটে এসে রক্তাক্ত ওই ছাত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও সে হাসপাতালেই মারা যায়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এরপর গুন্টুর পুলিশের আরবান সুপারিনটেনডেন্ট আরিফ হাফিজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এম সুচিত্রাও নিহত ওই ছাত্রীর দেহটি সরকারী হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন। এম সুচিত্রা জানান, “সাংঘাতিক ঘটনা। কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও মানসিক বিকারগ্রস্তদের আটকানো যাচ্ছে না। তাদের চরম শাস্তি দেওয়া উচিত”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডি ঘোষণা করেছেন, “মৃত ছাত্রীর পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনকে জানালেন, তারা যেন ওই পরিবারের দেখাশোনা করে”। পাশাপাশি তেলুগু দেশমের সাধারণ সম্পাদক তথা বিধান পরিষদের সদস্য নরলোকেশ বলেছেন, “স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী যখন দাবী করছিলেন যে তাঁর আমলে মহিলারা নিরাপদে আছেন। আর তখনই ওই দলিত ছাত্রী খুন হন”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
জন সেনার প্রধান কে পবন কল্যাণ জানিয়েছেন, “ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর মৃত্যু দুঃখজনক। সম্প্রতি রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় মহিলারা আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্য সরকার অপরাধ কমাতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু আইন করে অপরাধ কমানো যায় না। অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে”।
রবিবার গভীর রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল ডি ডি সাওয়াং এর তরফে জানানো হয়েছে যে, “স্থানীয় মানুষ ওই খুনের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র দিয়েছেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও খুনি সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাওয়ার ফলে খুনি ধরা পড়েছে”।