মানুষ ও পাখির প্রেম দেখে তাজ্জব সকলে

Share

রাজ খানঃ বর্ধমানঃ রিল না রিয়েল মিলিয়ে নিতে অনেকেই বাড়িতে আসছেন। মিঠুর চোখ সবসময়ই রাজীবকে খোঁজে। রাজীবও মিঠুকে খোঁজে। মিঠুর না খাওয়া অবধি রাজীবেরও কোনো কিছু দাঁতে কাটতে মন চায় না। এদের প্রেম রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে এই প্রেম কাহিনী এখন বাসিন্দাদের মুখে মুখে ঘুরছে।

https://www.youtube.com/watch?v=8wQT2iREbP8


সারাদিন দু’জন দু’জনের গায়ে লেগে থাকে। তাদের এই প্রেম পরিবারের সকলে মেনে তো নিয়েইছেন বরং সকলেই তা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন।


হেঁয়ালি ছেড়ে আসল কথায় আসা যাক। শালিক মিঠু রাজীবের প্রেমে পড়েছে। যেখানে রাজীব সেখানে মিঠু পায়ে পায়ে পৌঁছে যায়। যাবো কি যাবো না ভেবেও শেষ পর্যন্ত চক্ষু লজ্জার মাথা খেয়ে রাজীবের মোটর সাইকেলে উঠে পড়ছে। রাজীবের কাঁধ যে মিঠুর বড়ো ভরসার জায়গা।


মাস দুয়েক আগে মন্তেশ্বরের বালিজুড়ি গ্রামের রাজীব মন্ডল একটি গাছের নীচ থেকে অসুস্থ শালিকটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। এরপর সেবা শুশ্রুষা করে সুস্থ করে তোলে। সেই থেকেই সম্পর্কের বাঁধন শক্ত হয়। আর শালিকটি বনের জীবনে ফিরে যায়নি। গাছের কোনো শক্ত ডাল খুঁজেও নেয়নি। রাজীব শালিকটির কাছে সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। শালিকটি রাজীবের ঘরের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছে। রাজীবের বাড়ি শালিকটির বসা, শোয়া, ঘর-সংসার। রাজীব শালিকটিকে ভালোবেসে মিঠু নাম দিয়েছে। এখন শুধু নাম ধরে ডাকার অপেক্ষা। কাঁধের ওপর এসে চুপটি করে বসে।

রাজীব জানান, “কাজের তাগিদে বাইরে যেতেই হয়। তখন মিঠু আমার সঙ্গী হয়। মোটর সাইকেলে উড়ে এসে বসে। একটু ভাত, মুড়ি ও বিস্কুটেই সন্তুষ্ট। খাঁচা বন্দি করে রাখতে চাই না। রাতের বেলা বিড়ালের ভয়ে নিজেই খাঁচায় ঢুকে যায়”।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30