নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরপ্রদেশঃ উত্তরপ্রদেশের পারসা গ্রামে ১০ বছর বয়সী শিশুকে বলি দেওয়ার অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। তান্ত্রিকের কথা শুনেই দাদা ভাইকে খুন করেছে বলে অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ কৃষ্ণ বর্মার ছেলে বিবেক নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও বিবেককে পাওয়া যায়নি। পরে ওই দিন রাতেই নিকটবর্তী মাঠ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর গলায় আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে জানতে পারে, তাকে কাকা ও খুড়তুতো ভাই নরবলি দিয়েছে কারণ বিবেকের দাদা অনুপের আড়াই বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। কিন্তু প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করলেও বিশেষ লাভ না হওয়ায় তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
তান্ত্রিক জানান, “নরবলি দিলে ছেলে সুস্থ হয়ে উঠবে।” তাই ভাই বিবেককেই বলি দেওয়ার জন্য বেছে নেন। আর অনুপের বাবা চিন্তারাম এই কাজে সাহায্য করেন। আর বিবেককে মাঠে তুলে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ফেলেন।
পুলিশ এই ঘটনায় অনুপ, চিন্তারাম ও তান্ত্রিককে গ্রেফতার করে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। এর পাশাপাশি অভিযুক্ত তান্ত্রিক অতীতে আরও কাউকে নরবলির নির্দেশ দিয়েছেন কি না, তাও ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।