নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ মুর্শিদাবাদের অশান্ত এলাকায় মোট আট কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে। কলকাতা থেকে গেল এক কোম্পানি, জঙ্গলমহল থেকে গেল তিন কোম্পানি। ঝাড়গ্রাম থেকে এল এক কোম্পানি সিআরপিএফ, RAF-সহ ৪ কোম্পানি। মুর্শিদাবাদে পৌঁছালেন সিআরপিএফের আইজি পদমর্যাদার অফিসার। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে জাতীয় সড়ক স্বাভাবিক রাখতে এবং এলাকা অশান্তি মুক্ত রাখার কাজ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
অন্যদিকে সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম ও বসতি এলাকায় সীমান্তা সুরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফ থাকবে। প্রয়োজন অনুযায়ী রাজ্য পুলিশ কোনও অশান্তির খবর পেলে তাদের সহায়তা করবে সিআরপিএফ। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে চলা বিক্ষোভ থেকে বিগত কয়েকদিন ধরেই সুতি, সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর-সহ একাধিক এলাকা থেকে অশান্তির খবর এসেছে। খবর এসেছে মৃত্যুরও। আহত হয়েছেন অনেক পুলিশ কর্মী। হু হু করে বেড়েছে গ্রেফতারির সংখ্যা। পুলিশ বারবার গুজবে কান না দেওয়ার কথা বললেও অশান্তি ঠেকাতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিশের।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
শনিবার সন্ধ্যাতেই মুর্শিদাবাদে চলে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। যান বিএসএফের আইজি পদমর্যাদার অফিসারও। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অশান্ত মুর্শিদাবাদকে সামাল দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর স্পেশাল বেঞ্চে শুনানি হয়। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শান্তির বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here