অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ মহুয়া মৈত্র সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে বহিষ্কৃত হন। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল মহুয়া মৈত্রকে আবার কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে টিকিট দিয়েছে। আর ওই মামলাতেই আজ তাঁর আলিপুরের বাসস্থানে সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) তল্লাশি চালাচ্ছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন সিবিআইয়ের একটি দল আলিপুরে ‘রত্নাবলী’ নামে একটি আবাসনে যায়। সেখানে ন’তলার একটি ফ্ল্যাটে মহুয়া মৈত্রর বাবা দীপেন্দ্রলাল মৈত্র থাকেন। এই টাকার প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে প্রথম ওই অভিযোগ তুলে দাবী করেন যে, ‘‘তিনি দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন। পরিকল্পনামাফিক সংসদে শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিশানা করেন। সবটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য।’’

- Sponsored -
আর নিশিকান্ত দুবে লোকসভার স্পিকারকে এই অভিযোগ চিঠি মারফত জানিয়ে মহুয়া মৈত্রকে সাংসদ পদ থেকে বরখাস্ত করার দাবী তোলেন। এদিকে, মহুয়া মৈত্র প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। শিল্পপতি হীরানন্দানি নিজে একটি হলফনামায় জানান, ‘‘মহুয়া মৈত্র সংসদের লগ ইন আইডি জেনে প্রশ্ন টাইপ করতেন।’’ আর মহুয়া মৈত্র নিজের লগ ইন আইডি দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ স্রেফ উড়িয়ে দিয়ে অভিযোগ করেন, ‘‘তাঁর বক্তব্য না শুনেই লোকসভার এথিক্স কমিটি তাঁকে একতরফা ভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে।’’ গত বছরের ৮ ই ডিসেম্বর যা লোকসভায় পাশ হয়ে যায়। এরপর মহুয়া মৈত্র সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
সম্প্রতি লোকসভার সচিবালয় সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের উত্তরে গত ১২ ই মার্চ লোকসভার সচিবালয় জানায়, ‘‘সংবিধানের ১২২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনসভার অভ্যন্তরীণ কর্মপদ্ধতিতে বিচারবিভাগ হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’’ প্রসঙ্গত, ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে। পাশাপাশি বেশ কিছু নথি সহ একটি মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আর চন্দ্রনাথ সিং এই উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি।