নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাঁকুড়াঃ বার বার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে বোরো ধান ও আলু চাষে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন জেলার চাষীরা। আর এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যে জেলা কৃষি দপ্তর কৃষকদের পরামর্শ দিতে প্রচার শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, বিষ্ণুপুর মহকুমায় আলু এবং বোরো ধানের চাষ জেলায় সবথেকে বেশী হয়। এদিকে আলু চাষীদের একাংশ জানাচ্ছেন, “জোলো আবহাওয়ায় জলদি চাষের পোখরাজ আলু সহ জ্যোতি ও চন্দ্রমুখী আলুর চাষও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ বৃষ্টিতে জ্যোতি এবং চন্দ্রমুখী আলুতেও গোড়া ধসা রোগ হওয়ায় ফলন অনেকটাই কমে যেতে পারে।”
আলুর পাশাপাশি এমন আবহাওয়ায় বোরো ধানের বীজতলায় ধসা রোগ আসতে পারে। এর অন্যত্ম কারণ হলো বোরো ধানের বীজের মেয়াদ সাধারণত চল্লিশ দিনের হয়। এই আর্দ্র আবহাওয়ায় বীজের অঙ্কুরোদ্গমে দেরী হবে। আবার যেখানে সবে পাতা বেরিয়েছে সেখানে ধসা রোগ আসবে। এতে ধান গাছ অপুষ্ট হলে ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে।”
জেলা কৃষি অধিকর্তা দীপঙ্কর রায়ও জানাচ্ছেন, “সাধারণত নীচু জমিতে বীজতলা করতে বলা হয়। তাতে ঠান্ডা হাওয়া উপর দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে। বীজতলায় সন্ধ্যাবেলা জল দিয়ে সকাল্বেলা বার করে দিতে হবে। এতে জল তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। বীজতলায় ছাই ছড়িয়ে দিলে মাটির উষ্ণতা যেমন ধরে রাখে তেমনই ছাইয়ের পটাশ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ায়।
এদিকে আর্দ্র আবহাওয়ায় আলুর মতো বোরো ধানের বীজতলায় ছত্রাকঘটিত ধসা রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। বৃষ্টি থামলেই ছত্রাকনাশক জিনেব প্রতি লিটার জলে আড়াই গ্রাম করে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
আর আকাশ পরিষ্কার হওয়ার পরে ঠান্ডা হাওয়ায় বীজ বসে যেতে পারে। তাই তা থেকে বাঁচতে বীজতলার উত্তর-পশ্চিম দিকে বস্তা টাঙিয়ে আড়াল তৈরী করে দিতে হবে।”