নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুম্বইঃ সিনেমাজগতে প্রতারণার খবর নতুন নয়। কখনও চেক বাউন্স, কখনও আবার শেষ মুহূর্তে কাস্ট বদল, যা নিয়ে অভিনেতা-অভিনেত্রী বা সিনেপাড়ার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থাকে নাজেহাল হতে হয়েছে। আর সেই তালিকায় বলিউড পরিচালক রাম গোপাল ভর্মার নাম যুক্ত হলো। এবার চেক বাউন্স মামলায় রাম গোপাল ভর্মাকে মুম্বই আদালত তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে।
মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করার কথা ছিল, কিন্তু পরিচালক অনুপস্থিত থাকায় বিচারক রাম গোপাল ভর্মার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ‘শ্রী’ সংস্থার প্রতিনিধি মহেশচন্দ্র মিশ্র রাম গোপাল ভর্মার সংস্থার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, ‘‘রাম গোপাল ভর্মার অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় একটি চেক ব্যঙ্ক থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্টের আওতায় বিষয়কে অপরাধ হিসেবে গ্রহণ করা হয়।’’
এদিন আদালত রাম গোপাল ভর্মাকে তিন মাসের জেল ও ৩ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আর ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে আরো তিন মাসের জেলের মেয়াদ বেড়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। পরিচালকের বিরুদ্ধে এই রায় এক কথায় বলতে গেলে সিনেজগতের কাছে এক কড়া বার্তা দেবে। আর এই ধরণের অপরাধ যে আইনের চোখে গুরুতর তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।