রায়া দাসঃ কলকাতাঃ দীর্ঘদিন ধরেই প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের খড়গপুরে আনাগোনা। বর্তমানে সাংসদ না থাকলেও মেদিনীপুরকে নিজের ঘাঁটি বলে থাকেন। আর সেই খড়গপুরের সাউথ সাইডের রেলের ৬৭৭ নম্বর একটি বাংলোয় থাকতেন। কিন্তু অনেকদিন ধরেই তৃণমূল নেতৃত্ব রেলের ওই বাংলো নিয়ে অভিযোগ তুলেছিল। শেষমেশ গতকাল দিলীপ ঘোষ বাংলো ছাড়ার নোটিশ পেলেন। আর অবিলম্বে খালি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। গত ৪ ঠা এপ্রিল তৃণমূল নেতা দেবাশিস চৌধুরীর করা একটি আরটিআই জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষ বেআইনীভাবে রেলের বাংলো দখল করে রেখেছে, বারবার এমনই অভিযোগে তৃণমূল সরব হয়েছে। এবার রেলের তরফে ওই বাংলো খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুরবেলা বাংলোর দেওয়ালে ওই নোটিশ আটকানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে প্যাসেঞ্জার সার্ভিস কমিটির প্রাক্তন সদস্য তুষারকান্তি ঘোষ নামে এক জন ব্যক্তির জন্য ওই বাংলোটি বরাদ্দ করা হয়। আর তিনি বন্ধু দিলীপ ঘোষকে থাকতে দিয়েছিলেন। তবে ২০২০ সালে তুষারকান্তিবাবুর বাংলোর সময়সীমা শেষ।
এরপরও কোনো ভাড়া না দিয়ে সেই বাংলো দখল করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। রেলের পক্ষ থেকে নোটিশ দিয়ে তুষারকান্তিবাবুকে শোকজ করা হয়েছে। নোটিশে আগামী ১৭ ই এপ্রিলের মধ্যে এই জবর দখলের কারণ দর্শানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে ২১ শে এপ্রিল বেলা ১টায় সশরীরে তুষারকান্তিবাবুকে অথবা তার নিযুক্ত কোনো প্রতিনিধিকে সমস্ত নথিপত্র নিয়ে খড়গপুর ডিভিশনের এস্টেট অফিসারের কাছে উপস্থিত হতে হবে।
তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, “ওই বাংলো অবৈধভাবে দখল করা ছিল। অন্যায়ভাবে দখল করে রেখেছিলেন। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী জানান, “সত্যের জয় হল। দিলীপ ঘোষ অনেক বড়ো বড়ো কথা বলতেন। এবার কি বলবেন? এতদিন বৈদ্যুতিক বিল সহ কোনোরকম ভাড়া না দিয়েই জবরদখল করেছিলেন। ওঁর জন্য জনৈক তুষারকান্তি ঘোষকে বিপদে পড়তে হল।” এদিকে, বিজেপি নেতৃত্বের দাবী, “তৃণমূল সরকারী সম্পত্তি জবরদখল করে রেখেছে। রেলের জমিতে পার্টি অফিস করা হয়েছে বলে অভিযোগও ওঠে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? তা নিয়ে বিজেপি প্রশ্ন তুলছে।