নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ মঙ্গলবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের ঘাটালের দাসপুরের একটি ধূপের কারখানায় আগুন লেগেছিল। এখনো আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অগ্নিকাণ্ডের জেরে কারখানার ভিতরের সমস্ত জিনিসপত্র পুড়ে গিয়েছে। আজ অভিনেতা তথা সাংসদ দেব ওই কারখানায় গিয়ে কারখানার শ্রমিকদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনলেন।
দেবকে দেখেই শ্রমিকেরা কারখানার সামনে জড়ো হয়ে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এরপর অভিনেতা সকলের কথা শুনতে কারখানার উল্টো দিকে একটি মাঠে গিয়ে মাটিতে বসে পড়েন। তারপর কয়েক হাজার শ্রমিক দেবকে ঘিরে সমস্ত সমস্যার কথা জানান। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ স্পষ্ট ভাবে জানা না গেলেও প্রাথমিক ভাবে শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লেগেছে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া কারখানায় অনেক দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
সেদিন থেকে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বুধবার একটা গোটা দিন কেটে যাওয়ার পরেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এদিন বেলা অবধি দমকল কর্মীরা কারখানার ভিতরে ঢুকতে পারেননি। কারণ আগুন নিভলেও এখনো পর্যন্ত ধোঁয়া রয়েছে। আগুন-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দেব জানান, ‘‘যখন থেকে এই আগুন লাগার খবর পেয়েছি দিদির সঙ্গে যোগাযোগে ছিলাম। আগুন লাগল কিভাবে তদন্ত হবে। আর কারখানা যাতে দ্রুত শুরু হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছে। আর যত দিন না কারখানা চালানো যাচ্ছে, ছ’মাস অবধি এই কারখানার শ্রমিকদের মাসে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আর মার্চ মাস থেকেই তা চালু হবে।
আমাদের লক্ষ্য কারখানা দ্রুত চালু করা। যারা এই কারখানার উপর নির্ভর করে আছেন, তাদের মুখে হাসি ফোটানো।’’ মূলত, আজ থেকেই তিনি নিজের কেন্দ্রে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।পাশাপাশি এখান থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে কথা দিয়েছেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হবে। দিদি মিথ্যা কথা বলবেন না। রাজনীতি থেকে আমার পাওয়ার কিছু নেই। আমার অনেক আছে। রাজনীতি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। দিদির কথায় ফিরেছি। আমি চিৎকার করতে ভালবাসি না। কাজ করে দেখাই। ঘাটালে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। আমি জিতি বা হারি, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হবে। কেন্দ্রীয় সরকার সেটা আটকে রেখেছে। ভোটের সময়ে অনেকে কথা বলেন, এরপর ভুলে যান। আমি তাতে বিশ্বাস করি না।’’