নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসবের আগেই ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ! ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিজনরা! চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় শারীরিক সমস্যা নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন বেলদার নাহাপার এর বাসিন্দা শিখা দে দাস।
পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হলেও তা গুরুত্ব দেয়নি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। প্রাথমিকভাবে কিছু পরীক্ষা করার পরেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। পরিবার বারবার প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তি রাখার আবেদন জানালেও সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর গভীর রাতে ফের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় ওই গর্ভবতী মহিলার। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাঁকে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে।
পরিবারের অভিযোগ চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই প্রসবের আগেই মৃত্যু হল ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলার। ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা। পরিস্থিতি সামলানোর জন্য হাসপাতাল চত্বরে রয়েছে বিশাল বাহিনী। এখনও পর্যন্ত মৃতার পরিবারের তরফে কোন লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য হাসপাতালে। পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আমরা বলছিলাম, ওর একটু শ্বাসের সমস্যা হচ্ছে। নার্স দিদিকেও ডেকে বলেছিলাম। কিন্তু গুরুত্ব দিল না ওরা। একটু নজর দিলে মেয়েটা চলে যেত না। আমরা ভর্তিই রাখতে চেয়েছিলাম। বারবার বলেছিলাম ওর সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দিল। বাড়িতে নিয়ে যেতে যেতেই বাড়াবাড়ি হয়ে গেল। আর কিছু করা গেল না। বাড়িতে কি সবসময় সব করে ওঠা সম্ভব হয়?”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এবার হাসপাতালের আইসিইউ-এর সামনেই অবস্থানে বসলেন মৃত অন্তঃসত্ত্বার পরিবারের সদস্যরা। যতক্ষণ না হাসপাতাল সুপার গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন ততক্ষণ তাঁরা মৃতদেহ নেবেন না বলেও দাবি করেছেন মৃতার স্বামী। তবে এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে যাননি হাসপাতালের কোনও আধিকারিক। রয়েছে পুলিশ বাহিনী। হাসাপাতালের তরফ থেকেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে না।