নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ট্রেন দুর্ঘটনার যেন অন্ত নেই। একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। আর এই ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল যে পরপর এতগুলি ঘটনা কি নিছকই দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে রয়েছে বড়ো কোনো ষড়যন্ত্র আছে? এবার সেই সন্দেহ আরো প্রখর হলো। আর এবার কালিন্দী এক্সপ্রেসকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ট্রেন যাতে লাইন থেকে ছিটকে যায়, সে জন্য রেললাইনে এলপিজি সিলিন্ডার রাখা ছিল।
সূত্রের খবর, গতকাল কালিন্দী এক্সপ্রেস প্রয়াগরাজ থেকে ভিওয়ানির দিকে যাচ্ছিল। সকাল ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ শিবরাজপুর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময়ই আচমকা দেখা যায় রেল ট্রাকে রাখা এলপিজি সিলিন্ডার। সজোরে ওই সিলিন্ডারে ধাক্কা মারে ট্রেন। সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষেন চালক।
নিমেষে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত, তবে ভাগ্যক্রমে ধাক্কা লেগে রেললাইন থেকে ছিটকে পাশে পড়ে যায় সিলিন্ডারটি। এরফলে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের। ডাকা হয় ফরেন্সিক টিমও। রেলওয়ে প্রোকেটশন ফোর্স ঘটনার তদন্ত করছে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হরিশ চন্দ্র জানান, কালিন্দী এক্সপ্রেসের লোকো পাইলট যে মুহূর্তে সিলিন্ডারটি দেখতে পান, সঙ্গে সঙ্গে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। দাঁড়ানোর আগে ট্রেনটি ওই সিলিন্ডারে ধাক্কা মারে, তবে এর কারণে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। লোকো পাইলট সঙ্গে সঙ্গে গার্ড ও গেটম্যানকে খবর দেন।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে প্রায় ২০ মিনিট দাঁড়িয়েছিল ট্রেনটি। পরে বিলহৌর স্টেশনে ফের দাঁড় করানো হয় ট্রেনটিকে পরীক্ষার জন্য। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে সিলিন্ডারের পাশাপাশি এক বোতল পেট্রোল ও দেশলাইও পাওয়া গিয়েছে।
এই দেখেই আরও স্পষ্ট হয় যে নাশকতার উদ্দেশেই রেললাইনে সিলিন্ডার রাখা ছিল। কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।