নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ মহালয়া থেকে অশান্তি চলছিল। আর আজ একাদশীর সকালবেলাও মালদার চাঁচলের কলিগ্রাম প্রাণসাগর এলাকায় কংগ্রেস ও তৃণমূলের সংঘর্ষে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে।
উল্লেখ্য, মহালয়ার দিন ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এই সংঘাতের সূত্রপাত। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই দিন কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এরপর মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরার সময় কংগ্রেসের সদস্যরা তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান রেজাউলের ভাই ইমরান খানের উপর বাঁশ ও বাটাম নিয়ে হামলা চালায়। এমনকি পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় ৩৫ কুইন্টাল মাছ মেরে ফেলে।
তারপর সপ্তমীতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এক জন কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর এদিন ভোরবেলা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রেজাউলের পু্রোনো বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। ফলে তৃণমূল চাঁচল-আশাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। পাল্টা কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মীরাও তেড়ে যান।
এরপর দু’পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েক জন আহত হয়। অন্যদিকে পুলিশ অবরোধ তুলে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করেন। এর পাশাপাশি আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। রেজাউল জানান, ‘‘বাজার-হাট করতে পারছি না। যেখানে যাচ্ছি সেখানেই মারছে।
আমি পঞ্চায়েত প্রধান, অথচ আমি তিন দিন ধরে বাড়ি থেকে বেরোতে পারছি না। পুলিশকে জানালেও পুলিশ কিছুই করছে না। উল্টে আমাদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে।’’ জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি দুলালচন্দ্র সরকার বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই কংগ্রেস এবং সিপিএম মিলে তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে চাইছে। ভোটে হেরে গিয়ে হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে।’’
পুলিশ পুজো নিয়ে ব্যস্ত। উৎসবের মরসুমে সব জায়গায় একসাথে সামাল দেওয়া মুশকিল। কিন্তু প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’’ তবে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবী, ‘‘প্রধানের লোকজনই হামলা চালিয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। স্থানীয়েরা প্রতিরোধ গড়েছেন।’’