নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ একদিকে এলাকাবাসীরা জল পাচ্ছেন না। আবার কেউ চৌবাচ্চার মধ্যে পুরসভার জলেই রঙিন মাছের ব্যবসা চালাচ্ছে। কাউন্সিলর পুর পারিষদ ও জল দপ্তরের কর্মীরা অভিযোগ পেয়ে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সরেজমিনে নেমে পড়েন। আর জলের লাইন কাটার নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, হুগলীর চুঁচুড়া পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের কাপাসডাঙা নিউ জিএস কলোনীর বাসিন্দা রতন বিশ্বাস বাড়িতে ষোলোটি চৌবাচ্চা বানিয়ে রঙিন মাছ চাষ করছেন। একটি বাড়ির জন্য একটি জলের লাইন নিয়ে তা পাশের বাড়িতেও ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ এলাকাবাসীরা জল পাচ্ছেন না। ফলে এলাকাবাসীরা বিধায়ক অসিত মজুমদারের কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু অসিত মজুমদার জনসংযোগে বেরিয়ে পায়ে চিড় ধরায় তিনি বাড়িতে রয়েছেন। তবে স্থানীয় কাউন্সিলর এবং জল দপ্তরকে বিষয়টি দেখতে বলেন।
কথা মতো আজ কাউন্সিলর নির্মল চক্রবর্তী, জল দপ্তরের পুরপারিষদ দিব্যেন্দু অধিকারী দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে কাপাসডাঙায় উপস্থিত হন। আর পুরসভার জলের বেআইনী ব্যবহার দেখে তাদের চক্ষু চড়কগাছ। বাড়ির ভিতরে বড়ো বড়ো চৌবাচ্চায় মাছ চাষ চলছে। বিনা মূল্যে জল নিয়ে বানিজ্যিক কাজে লাগানো হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী।
রতনবাবু অবশ্য দাবী করেছেন, “ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এই ব্যবস্থা করছেন।” কিন্তু পুরসভা তা মানতে রাজি হয়নি। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলের অপচয় জল চুরি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। একাধিক জায়গায় জল চুরির অভিযোগও দায়ের হয়েছে।