চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ ২১ শে জুলাইয়ের শহীদ সমাবেশ উপলক্ষ্যে অবশেষে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দুপুর ১টা ২৫ মিনিট নাগাদ জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভামঞ্চে বক্তৃতা শুরু করলেন। মঞ্চে উঠেই প্রথমে মণিপুরকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ ফেলে বলেন, ‘‘আমরা স্যালুট জানাই মণিপুরের মানুষকে। বাংলা ও INDIA পক্ষ থেকে। এখন কোথায় গেল বেটি বাঁচাও শ্লোগান? দেশের বেটিরা এখন জ্বলছে।’’
মণিপুরে, দেশে বিলকিসের ওপর যারা অত্যাচার করেছিল, তাদের ছেড়ে দিয়েছেন। বক্সারদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিলেন না। আগামীর ভোটে মহিলারা বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। মণিপুর নিয়ে বলতে গিয়ে বাংলা, রাজস্থানের কথা বলেছেন। আমার আপনার কাছে একটাই বিনীত প্রশ্ন, আর কতদিন বেটি জ্বলবে, দলিত জ্বলবে। আমরা মণিপুর ছাড়ছি না।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এখানে ১৫৪ কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছেন। আমাদের লোককে গ্রেফতার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে দলের তরফে বলছি, বিদেশে গিয়ে ভারতের জন্য কাঁদেন। আর দেশের মানুষ আপনার জন্য কাঁদছে।” পঞ্চায়েতে হানাহানির ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের উপর তোপ দেগে বলেছেন, ‘‘সিপিএমের আমাকে নিয়ে অ্যালার্জি আছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে কি ছিল?
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পঞ্চায়েত নির্বাচনে একাত্তর হাজার বুথে ভোট হলো। কিন্তু ভাঙড়, ডোমকল, ইসলামপুর এবং কোচবিহারে গন্ডগোল হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের দিন পনেরো জন মারা গেছে। তার আগে চোদ্দ জন মারা গেছে। এর মধ্যে আঠেরো জন তৃণমূল কর্মী। তৃণমূল কর্মীরা কি তৃণমূল কর্মীদের খুন করবে?
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে যারা হিংসার বলি হয়েছেন, তাদের চাকরী ও আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।’’ ‘‘আমরা পরপর পাঁচ বার প্রথম হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। ৫ ই আগস্ট একশো মিটার দূরে ব্লকে ব্লকে বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে। যাতে বলতে না পারে আমরা অবরুদ্ধ করে রেখেছি।
এছাড়া প্রাপ্য টাকা না দিলে ২ রা অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লিতে ধর্না হবে। রাস্তায় আটকালে যেখানে আটকাবে, সেখান থেকে দিল্লি যাব। বাংলাকে ভাতে মারা যাবে না। আমরা চেয়ারকে কেয়ার করি না। আমাদের চেয়ার চাই না। আমরা চাই বিজেপি দেশ থেকে বিতাড়িত হোক। আর বিজেপিকে নেওয়া যাচ্ছে না।’’