নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ কাফ সিরাপ খেয়ে ২০ জন শিশুর মৃত্যুর পরই কোল্ডরিফ সিরাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তদন্তও চলছে। এর মধ্যেই এবার কেন্দ্রের তরফে কড়া নির্দেশ এসেছে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসের তরফে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ফার্মাসিউটিকাল পণ্যের আরো কড়াভাবে পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া হল।
তদন্তে জানা যায়, বেশ কিছু কাফ সিরাপ, যা চার বছর বয়সী নীচে শিশুদের দেওয়াই উচিত নয়, তা দেদার বিক্রি হচ্ছে। এরপরই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ড্রাগ কন্ট্রোলারদের বলা হয়েছে, ওষুধ তৈরীর কাঁচামালের প্রতিটি ব্যাচ যেন পরীক্ষা করা হয়। আর ওষুধ তৈরীর পরেও অর্থাৎ বিক্রি বা ব্যবহারের আগে তৈরী ফর্মুলেশনও সঠিকভাবে পরীক্ষা করা হয়।
ডিসিজিআইর তরফ থেকে নির্দেশিকায় স্পষ্ট লেখা হয়েছে যে, একাধিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিটি এক্সপেরিমেন্ট ব্যাচ পরীক্ষা করছেন না। এই ধরণের গাফিলতির জেরেই এমন ঘটনা ঘটছে। ড্রাগ প্রস্তুতের যে নিয়ম রয়েছে অর্থাৎ কাঁচামাল ও প্রস্তুত ওষুধ উভয়েরই পরীক্ষা করতে হবে। তা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। স্বীকৃত ভেন্ডরদের থেকেই একমাত্র কাঁচামাল কিনতে বলা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সম্প্রতি রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে কাফ সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। তেমনই গত বছর গামিবিয়া ও উজবেকিস্তানেও ভারতে তৈরী কাফ সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছিল। এর আগেও একাধিক পরীক্ষায় ধরা পড়েছে যে ডায়াথিলিন গ্লাইকল বা ইথালিন গ্লাইকলের মতো বিষাক্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলভেন্ট কাফ সিরাপে মিশে রয়েছে। যদি ওষুধ তৈরীর আগেই কাঁচামাল পরীক্ষা করা হত, তাহলে এত মৃত্যু এড়ানো যেত।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের চিন্দওয়াড়ায় বিক্রি হওয়া কোল্ডরিফ সিরাপে ডায়াথিলিন গ্লাইকলের উপস্থিতি মিলেছে, তাও আবার নির্ধারিত সীমার পাঁচশো গুণ বেশী। সিরাপ খেয়ে এখনো ছ’জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি। তাদের অবস্থা সঙ্কটজনক। শিশুরা খেয়েছিল, এমন উনিশটি সিরাপের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে ছ’রাজ্যে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কেরল, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, তামিলনাড়ু এবং মধ্যপ্রদেশে কোল্ডরিফ সিরাপ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here