অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ মানুষ যেন ধীরে ধীরে নৃশংস হয়ে উঠছে। নিজের আপনজনকেও হত্যা করতে কোনো কুণ্ঠিতবোধ করে না। তাই এবার দাদার কুকীর্তি জেনে ফেলায় দাদার হাতেই ভাইকে খুন হতে হলো।
অবিশ্বাস্যকর ঘটনাটি মহানগরীর বুকে একবালপুর এলাকায় ঘটেছে। কিন্তু তারা কেউই এই রাজ্যের বাসিন্দা নন।
জানা গেছে, ১৪ বছরের হানিফ আনসারি ও ১৮ বছরের মুবারক আনসারি কাজের সন্ধানে কলকাতায় এসেছিল। তারা ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার কারোণ্ডি গ্রামের বাসিন্দা। তারা একবালপুরের কদমতলা এলাকায় নির্মীয়মাণ আমজাদ আলি মসজিদে কাজও পেয়ে যায়। সেই কাজ করতে গিয়েই মুবারক কিছু অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। আর সেই বিষয়টি ছোটো ভাই হানিফ জানতে পেরে যায়। যার জেরে গতকাল রাতে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সেই সময় বড়ো ভাই মুবারক রাগের বশে হাতের কাছে থাকা পেরেক লাগানো বাটাম দিয়ে ছোটো ভাই হানিফকে বার বার আঘাত করে। যার ফলে হানিফ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
মসজিদে থাকা কিছু লোক দেখা মাত্রই হানিফকে মসজিদের পাঁচ তলার ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে তাকে চিকিত্সকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত কিশোরের মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। আর মসজিদের লোকজন মুবারককে আটকে রাখে।
এরপর মসজিদ কমিটির সদস্য তাবিউল হকের অভিযোগের ভিত্তিতে একবালপুর থানার পুলিশ এসে মুবারককে আটক করে। তারপর পুলিশ পুরো এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে। পুলিশী জেরার মুখে মুবারক সমস্ত অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে। আজ সকালে মুবারককে আদালতে তোলা হবে।
এই ঘটনাটির জেরে এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের উদ্যোগে মৃতের পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে।