ব্যুরো নিউজঃ ব্রিটেনঃ কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন কিংবা যেকোনো ভ্যাক্সিনের পর বুস্টার টিকা একান্ত প্রয়োজনীয়। আর প্রবীণদের ক্ষেত্রে কোভিডের বুস্টার টিকাগুলি খুবই কার্যকর হচ্ছে। ওমিক্রনে সংক্রমিত হলেও ৬৫ বছর বয়সী অথবা তদূর্ধ্বদের বুস্টার টিকা নেওয়া থাকলে করোনার প্রভাব ততোটা মারাত্মক হয়ে উঠছে না। এমনকি আর হাসপাতালেও ভর্তি হতে হচ্ছে না।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ওমিক্রন সংক্রমণের ক্ষেত্রে বুস্টার টিকাগুলির ফলে করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার ৯০ শতাংশ কমেছে। করোনা ভ্যাক্সিনের দু’টি ডোজ নেওয়ার পরে যদি ৬৫ বছর বয়সী অথবা তদূর্ধ্বরা ওমিক্রনে সংক্রমিত হন তাহলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার তিন মাস পর কমে ৭০ শতাংশ হচ্ছে।
আর ৬ মাস পর সেই হার কমে গিয়ে হচ্ছে ৫০ শতাংশ। কিন্তু যারা বুস্টার টিকা নিয়েছেন সেই প্রবীণরা ফের ওমিক্রনে সংক্রমিত হলে বুস্টার নেওয়ার তিন মাসের মধ্যেই তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার অনেকটাই হ্রাস পাচ্ছে।
করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের মোকাবিলা করার জন্য গবেষণার এই ফলাফলের পর ব্রিটেনের জয়েন্ট কমিটি অন ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন এখনই দ্বিতীয় পর্বের বুস্টার টিকা চালুর প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন না। পাশাপাশি আগামী দিনে করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের মোকাবিলা করার জন্য বুস্টারের দুটি ডোজের প্রয়োজন হবে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।