নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আসানসোলঃ পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পরে গতকাল আসানসোলের বারাবনির জামগ্রাম লাগোয়া একটি পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে উদ্ধার ২৪ বছর বয়সী সৈকত দাস নামে এক জন যুবকের দেহ। পেশায় ইসিএলের কাল্লা হাসপাতালের কর্মী। এই ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গত সোমবার বিয়ের দিন ভোরবেলা সৈকত নিখোঁজ হয়েছিল। গত ২৩ জানুয়ারী বিয়ের দিন ভোরবেলা ৪টে নাগাদ কেউ ডাকাডাকি করলে সে দরজা খুলে বেরিয়ে যায়। এরপর থেকে আর বাড়ি আসেনি। প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ করেও সন্ধান না পাওয়ায় সৈকতের পরিবারের তরফে বারাবনি থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করা হয়। কিন্তু তারপরেও সৈকতের সন্ধান না পেয়ে অবশেষে বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়।
এদিন কুয়োর মধ্যে দেহটি ভাসতে দেখে এলাকাবাসীরা দেহ শনাক্ত করে সৈকতের পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পাশাপাশি পুলিশও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। তার বাবা স্বপন দাস জানান, “এটি কোনো ভাবেই আত্মহত্যার ঘটনা নয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ভোরবেলায় যিনি বা যারা ছেলেকে ডেকেছিলেন, তারাই খুন করেছে।” এই ঘটনায় পরিবারের তরফে মৃত্যুর তদন্ত দাবী করে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।