নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ মৃত্যুতেও তোলা দিতে হচ্ছে! না হলে মৃতদেহ ফেলে রাখা হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সৎকার করা হচ্ছে না। এবার মালদার সদুল্লাপুর মহাশ্মশানে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠছে। গঙ্গা লাগোয়া এই শ্মশান কয়েক’শো বছরের পুরোনো। এই শ্মশানে শুধু এই জেলাই নয়, আশপাশের বেশ কিছু জেলা থেকেই মানুষ মৃতদেহ দাহ করতে যান। প্রতিদিন প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশটি দেহ দাহ করা হয়।
অভিযোগ, ‘‘মালদা জেলাপরিষদই এই শ্মশানের দেখাশোনার দায়িত্বে। এই শ্মশানে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের নির্ধারিত ৯৯৯ টাকার টিকিট কেটে চুল্লিতে দাহ করতে হয়। তবে সেই টাকার বাইরে জোর করে অন্তত সাতশো-আটশো বা হাজার টাকা বেশী নেওয়া হয়। রীতিমতো তোলা দিতে হচ্ছে। নাহলে মৃতদেহ সৎকার না করে ফেলে রাখা হচ্ছে।’’ এই নিয়ে মালদা জেলা পরিষদেরই অন্যতম সদস্য তথা কংগ্রেস নেতা শায়েম চৌধুরী জেলা পরিষদে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর জেলাশাসকের কাছেও অভিযোগ জানানো হলে জেলাশাসক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আত্মীয়ের মৃতদেহ নিয়ে আসা এক জন ব্য়ক্তি জানান, ‘‘তাকে ৯৯৯ টাকার রসিদ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ১৬০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। কারোর কারোর কাছ থেকে দু’ হাজার তিন হাজার টাকাও নেওয়া হচ্ছে।’’ তবে তৃণমূল শ্মশান কমিটির সম্পাদক প্রদীপ মণ্ডল এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার জন্য কারোর উপর কোনো চাপ দেওয়া হয় না। কেউ কেউ কর্মীদের খুশী মনে কিছু টাকা দেন।’’ যদিও শ্মশানের কর্মীদের একাংশের দাবী, ‘‘বারবার বেতন বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছে, কিন্তু বেতন বাড়েনি। তাই বাধ্য হয়ে এই টাকা নিতে হচ্ছে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here