অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বারুইপুর অভিযানে ধুন্ধুমারকে ঘিরে বিজেপি নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়কদের হেনস্থার অভিযোগ তুলে সুর চড়াচ্ছে। বিজেপি বিধায়করা রাজ্য সরকারের বিবৃতি দাবী করে অধিবেশন চলাকালীন শ্লোগান দিতে থাকেন। কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ ওঠে। এমনকি ওয়েলে নেমে কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ দেখানো হয়।
আজ বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ গতকাল বারুইপুরে যে ঘটনা ঘটেছে সে প্রসঙ্গ তুলে জানান, “গতকাল বিজেপি দলনেতা সহ বিজেপির পঞ্চাশ জন বিধায়কের প্রাণঘাতী হামলার মতো পরিস্থিতি তৈরী হয়। আগে থেকে পুলিশের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচী পালন করার পরও এই ধরণের পরিস্থিতি তৈরী করা হলো কেন, তার জন্য রাজ্য সরকারের বিবৃতি চাই।” তবে, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের কোনো বিবৃতির প্রসঙ্গেই যাননি।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এরপর বিজেপি বিধায়করা নিজেদের পকেটে থাকা কালো রুমাল ‘কালো পতাকা’ হিসাবে ব্যবহার করতে থাকেন। ওয়েলে নেমে বিধানসভার কার্যবিবরণীর যে কাগজপত্র রয়েছে, সেগুলি ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পাল্টা তৃণমূলের তরফে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “ওঁরা নির্বোধ। ওঁরা কি করছেন, তা ওঁরা জানেন না। সেই কারণেই এই ধরণের ভূমিকা পালন করছেন।” এরই মধ্যে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, “ওঁরা চেয়ার পাওয়ার জন্য বড়ো বেশী অধৈর্য্য হয়ে গিয়েছেন। গণতন্ত্রে এভাবে চেয়ার পাওয়া যায় না।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
প্রসঙ্গত, অধিবেশনে বলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গতকাল শুভেন্দু অধিকারী স্পিকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্রতেই মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। সেদিন বারুইপুরে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসেরও পথসভা ছিল। ফলে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে তীব্র উত্তেজনক পরিস্থিতি তৈরী হয়। যার প্রতিবাদে এদিন বিধানসভা আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here