নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মহারাষ্ট্রঃ গত ২ রা ডিসেম্বর ২৪৬টি পুরসভা ও ৪২টি পঞ্চায়েতে নির্বাচন হয়েছিল। রবিবার ছিল ফলাফল ঘোষণার দিন। সকাল থেকেই সংখ্য়াতত্ত্বের নিরিখে এগিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহায়ুতি জোট। পঞ্চায়েত এবং পুরসভার মোট ২৮৮টি আসনের মধ্যে ২১৪টি পঞ্চায়েত এবং পুরসভায় এগিয়েছিল তাঁরা। অন্য়দিকে, উদ্ভব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা, শরদ পাওয়ারের এনসিপি এবং কংগ্রেসকে নিয়ে তৈরি হওয়া মহা বিকাশ আগাড়ি এগিয়ে ছিল মাত্র ৫২টি আসনে।

কেরলের আঞ্চলিক নির্বাচনের পর মহারাষ্ট্রের আঞ্চলিক নির্বাচনেও দেখা গেল দখিনা হাওয়া। বিধানসভা নির্বাচনের মতোই শিবসেনা-এনসিপির গড়ে এখন বইছে গেরুয়া শিবিরের ঝড়। সন্ধ্য়া ৬টা পর্যন্ত পুরসভার ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, ২৪৬টি আসনের মধ্যে বিজেপি এগিয়ে ছিল ১০০টি আসন। শিবসেনা এগিয়ে ছিল ৪৫টি আসন। এনসিপি এগিয়ে ছিল ৩৩টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেসের ঝুলিতে সম্ভাব্য ২৬টি। শরদ পাওয়ার নেতৃত্বাধীন এনসিপি এগিয়ে ছিল ৮টি এবং উদ্ভব ঠাকরে নেতৃত্বাধীন এগিয়ে ছিল ৭টি আসনে।

পঞ্চায়েতের আসনে জয় বিজেপিরই। তাঁরা সেখানে পেয়েছে মোট ২৩টি আসন। শিবসেনা পেয়েছে সম্ভাব্য ৮টি আসন। এনসিপি পেয়েছে সম্ভাব্য ৩টি আসন। অন্যদিকে, বিরোধী শিবিরের অন্তর্গত কংগ্রেস এগিয়ে ছিল ৩টি আসন। শরদ পাওয়ার নেতৃত্বাধীন এনসিপি তখনও খাতা খুলতে পারেনি এবং উদ্ভব ঠাকরে নেতৃত্বাধীন এগিয়ে ছিল ৪টি আসনে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
রাজ্য়ের ভোটারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেন, ‘আগেই বলেছিলাম ৭৫ শতাংশ আসনে আমরা পাব, তেমনটাই হয়েছে।’ অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘এটা মহায়ুতির জন্য বিরাট জয়। তবে এই জয়ের কারিগর অর্থাৎ সাধারণ ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞ।’ তবে রাজ্য়ের শাসকজোটের এই জয়কে সোজা চোখে দেখছেন না বিরোধীরা। তাঁরা তুলে ধরেছেন ভোটচুরির কথা। নির্বাচন কমিশনই এই ‘জয়ের কারিগর’ বলে অভিযোগ তুলেছে উদ্ভব ঠাকরে নেতৃত্বাধীন শিবসেনা।










