মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ বিজেপির তরফে মৃত কর্মীদের শ্রদ্ধা জানাতে আজ ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’র আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু এই ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’র শুরুতেই তুমুল অশান্তি শুরু হয়।
বিজেপির সদর দপ্তর থেকে সুভাষ সরকার এই কর্মসূচীর সূচনা করেন। এই কর্মসূচীতে জন বার্লা, শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামাণিক ও সুভাষ সরকার উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচী অনুযায়ী আজ সকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, জয়প্রকাশ মজুমদার সহ বহু বিজেপির কর্মী-সমর্থক বিরাটির মহাজাতি নগরের গৌরীপুরে এসে পৌঁছান।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
শান্তনু ঠাকুর এবং তাঁর ভাই বিধায়ক সুব্রত ঠাকু্রের প্রথমে গৌরীপুর কালীবাড়িতে পুজো দিয়ে এরপর সেখান থেকে কর্মসূচী শুরু কথা ছিল। কিন্তু শান্তনু ঠাকুর ও সুব্রত ঠাকু্রের আসার আগেই পুলিশ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে চলে যায়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এরপর মহাজাতি নগরের গৌরীপুরে ওই কালি মন্দিরের কাছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর অবস্থান বিক্ষোভে বসেন দাবী করেন, “যে কর্মসূচীতে তাঁদের যাওয়ার কথা সেখানে তাঁর সাথে কর্মী-সমর্থকদেরও যেতে দিতে হবে”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পুলিশ শান্তনু ঠাকুর এবং সুব্রত ঠাকুরকে যাওয়ার অনুমতি দিলেও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের আটকে দেয়। তারপরই পুলিশ প্রশাসনের সাথে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অন্যান্য কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হলে শান্তনু ঠাকুরও সেই গাড়িতে উঠে পড়ে পুলিশকে বলেন, “তাঁর কর্মীদের গ্রেপ্তারী মানেই তাঁর গ্রেপ্তারী”।
এরপরই পুলিশ শান্তনু ঠাকুরকেও গ্রেপ্তার করে এয়ারপোর্ট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিজেপি কর্মীরা শান্তনু ঠাকুর সহ বিজেপি নেতাদের গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে মধ্যমগ্রাম থানায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন।
সেখানে তৃণমূল সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে শান্তনু ঠাকুর বলেন, “পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। বিজেপির সমস্ত কর্মসূচীতে অকারণে বাধা দেওয়া হচ্ছে”। জয়প্রকাশ মজুমদার রাজ্যে তালিবানি শাসন চলছে বলে দাবী করেন।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন। উত্তরপাড়ায় বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য অস্থায়ী মঞ্চ তৈরী করা হচ্ছিল। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল পুলিশবাহিনী সেই মঞ্চ তৈরী করা আটকে দিয়ে সেখান থেকে ১৫ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রসঙ্গত আজ সকালে শিলিগুড়িতেও ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’ শুরু হওয়ার আগে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ ১৪ জনকে জেলা বিজেপির কার্যালয় যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়ির হাসমি চকে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।