শওকত মোল্লার পাইলট কারের ধাক্কায় মৃত্যু হলো বাইক চালকের

Share

পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ আজ ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার পাইলট কারে অন্য এক ব্যক্তির ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিন শওকত মোল্লা কনভয় নিয়ে কলকাতায় আসছিলেন। তখন কলকাতা পুলিশের পাইলট কারের অ্যাক্সেলেটর ভেঙে যায়। গাড়িটি সামনে থাকা একটি মোটর বাইকে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহত অবস্থায় বাইক চালককে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। আজ সন্ধে নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।

জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ তাজউদ্দিন। প্রতিদিনের মতো তিনি কাজের জন্য লেদার কম্পপ্লেক্সে যাচ্ছিলেন। সেই সময় পথেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম-এর ট্রমাকেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় আজ বিকেল তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। এ দিকে, এই খবর পাওয়ার পরই কার্যত ভেঙে পড়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শওকত মোল্লার উপর।

মৃতের পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আমরা তিনটে নাগাদ এই খবরটা পাই। শুনেছি ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। ডাক্তার বলছে ব্রেনস্ট্রোক হয়। তারপরই মারা যায়। ” তিনি আরও বলেন, “হাসপাতালে ঢোকার আগেও কথা বলেছিল। তবে বাঁচানো যায়নি। ওর পরিবারে মা-স্ত্রী- দুটো ছোট-ছোট বাচ্চা আছে। একটা জলজ্যান্ত ছেলে ঘর থেকে বেরল। আর তিনটের মধ্যে শেষ হয়ে গেল। আমরা নিশ্চয়ই অভিযোগ করব। একমাত্র সম্বল শেষ হয়ে গেল।” মৃতের স্ত্রী বলেন, “ওঁকে (শওকত মোল্লা) বলুন আমার স্বামীকে এনে দিতে। আমার ছোট বাচ্চা অপেক্ষা করবে ওর বাবার জন্য। উনি তো আস্তে গাড়ি চালান। হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালান না।”


মৃতের শ্যালিকা বলেন, “এত কীসের এমারজেন্সি ছিল যে বিধায়ককে মেরে দিয়ে বেরতে যেতে হল। আমরা ছাড়ব না। ওঁর তো আসা উচিত ছিল আমাদের কাছে। এই বাচ্চাগুলোর দায়িত্ব কে নেবে?” উল্লেখ্য, ইলেকট্রিক পোস্টেও ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি। তার পিছনেই ছিল বিধায়কের গাড়ি। অল্পের জন্য রক্ষা পায় বিধায়কের গাড়ি। চালক সজোরে ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যায়। এই ঘটনায় মোটর বাইকটি সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। পাইলট কারের সামনের অংশও পুরো ভেঙে গিয়েছে।



Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930