চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ তৃণমূল ও আইএসএফের (ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট) বোমা এবং গুলির লড়াইয়ে আবার ভাঙড় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এর জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ মহিদ্দিন মোল্লা নামে এক জন আইএসএফ কর্মীর। আর আহত হয়েছেন দুই জন তৃণমূল কর্মী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙড়ে অশান্তি নিয়ে আইএসএফকেই দায়ী করেছেন।
এদিন ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারের কাঁঠালিয়া মোড়ে তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সাথে গুলি এবং বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। এছাড়া বিজয়গঞ্জ বাজারে আগুন ধরিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। ফলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছেন। আবার কাঁদানে গ্যাসও ছুঁড়েছেন। পাশাপাশি পুলিশী টহলদারীও চলে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আর এদিন নিয়ম মতো সকালবেলা ১১টা থেকে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রশাসনও প্রস্তুত ছিল। ভাঙড় এক নম্বর-দুই নম্বর বিডিও অফিসের বাইরে এক কিলোমিটার অবধি নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। কিন্তু গত দু’দিন ধরে তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে থাকে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তবে এর মধ্যে সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা ভাঙড় এক নম্বর বিডিওতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় অভিযোগ করে, “তৃণমূল তাদের বাধা দিয়েছে।” যদিও তৃণমূল সিপিএমের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আবার ভাঙড় দুই নম্বর ব্লকে সিপিএম অভিযোগ করেছে, “তৃণমূল মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার পথে প্রার্থী গিয়াসুদ্দিন মোল্লার কাগজপত্র ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এমনকি মারধর করা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রেও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে থেকেই তৃণমূলের সাথে আইএসএফের সংঘর্ষ জারি রয়েছে। তবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকা রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে।