ব্যুরো নিউজঃ বাংলাদেশঃ প্রবল মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় মোকার তাণ্ডবে বাংলাদেশে আহত হয়েছেন প্রায় ১১ জন। ঘূর্ণিঝড় মোকার দাপটে বহু ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিও হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকার বেগ ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার ছিল।
আর সেন্ট মার্টিন দ্বীপের গলাচিপা, কোনারপাড়া, মাঝরপাড়া, পশ্চিমপাড়া, উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়া এলাকায় অন্তত ৩৪০টি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়ে কয়েকটি গ্রাম ভেঙে গিয়েছে। বহু গাছ ভেঙে পড়েছে। এছাড়া ১১ জন আহতদের মধ্যে এক জন মহিলার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপেও ঘূর্ণিঝড় মোকার তাণ্ডবে ক্ষতি হয়েছে। বহু গাছ ভেঙে পড়েছে। আর আগেই এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। বহু মানুষ বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে কক্সবাজারে পাঁচ লক্ষেরও বেশী মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মহেশখালিতে ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ তিন দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটও হয়েছে। ফলে এলাকাবাসীরা সমস্যায় পড়েছেন। খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ জানান, “আগামী দুই দিনের মধ্যে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকার তাণ্ডবে মায়ানমারে একটি টেলিকম টাওয়ার ভেঙে পড়েছে। রাখাইন প্রদেশে ঝড়ে গাছ ভেঙে ১৪ বছর বয়সী এক জন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এখানে ঘন্টায় ১৯৫ কিলোমিটার বেগে তাণ্ডব চালিয়েছে। সিতওয়াতে প্লাবন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। এমনকি এরইমধ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।