ব্যুরো নিউজঃ বাংলাদেশঃ ভারতে যেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২৮ টাকা থেকে ৩০ টাকা, সেখানে বাংলাদেশে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম প্রায় দু’শো টাকা ছুঁইছুঁই। এহেন অবস্থায় বাংলাদেশকে ভারতেরই দ্বারস্থ হতে হয়েছে। ভারতের কাছ থেকেই বাংলাদেশ পেঁয়াজ কিনবে। আপাতত দেশের কৃষি মন্ত্রকের তরফে ১৫০০ টন পেঁয়াজ কেনার অনুমতি দিয়েছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিগত এক সপ্তাহে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম লাগাম ছাড়া ভাবে বৃদ্ধি পায়। প্রতি কেজি দেড়শো টাকা হতেই কৃষি মন্ত্রক পেঁয়াজের আমদানী করা নিয়ে আলোচনা শুরু করে। বাংলাদেশের পঞ্চাশ জন আমদানীকারককে ভারত থেকে পেঁয়াজ কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের ৩১ শে মার্চ অবধি আমদানী করা যাবে। কোনো আমদানীকারক ত্রিশ টনের বেশী আমদানী করতে পারবে না। আর কেউ দ্বিতীয়বার আমদানীও করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, ৩৫০০টি আবেদনের মধ্যে থেকে পঞ্চাশ জনের আবেদন বাছাই করে নেওয়া হয়েছে। পরে আরো অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

গত বছর বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন ও ইউনূস সরকার গঠনের পরই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা তিক্ত হয়। ওই সময় বাংলাদেশ বলেছিল, “তারা ভারতের উপরে নির্ভরশীলতা কমিয়ে, আলু-পেঁয়াজ থেকে শুরু করে চাল সহ একাধিক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানীর জন্য বিকল্প দেশ বেছে নেবে।” এক্ষেত্রে চীন, তুরস্ক, মিশর, পাকিস্তান এবং মায়ানমারের নাম শোনা যায়। তবে বাংলাদেশ ভারতের পাশাপাশি মায়ানমার থেকে আগেও সামান্য হলেও পেঁয়াজ কিনত।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
যদিও ভারতের তুলনায় অন্য কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশের আমদানী করতে প্রায় তিন গুণ টাকা খরচ হচ্ছে। তাই বাংলাদেশকে ভারতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি ট্রাক হিলি সীমান্ত দিয়ে ত্রিশ টন পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। আপাতত ভারত থেকে বাংলাদেশ বারো টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনছে। গাড়ি ভাড়া ও বন্দরের ট্যাক্স মিলিয়ে তা প্রতি কেজিতে আঠেরো টাকা দাম পড়ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।










