অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ মার্চের শুরুতে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু সিবিআইয়ের (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) মামলায় নাম থাকায় জেল বন্দি ছিলেন। তবে ওই মামলায় আগেই জামিনের আর্জিও জানিয়েছিলেন। কিন্তু আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি স্মিতা দাসদের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করে দিল। ফলে এখনই অয়ন শীলের জেল মুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই।

- Sponsored -
উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চ মাসে অয়ন শীল ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। গ্রেফতারীর আগে ইডি তার বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক নথিও উদ্ধার করেছিল। তার মধ্যে অনেক ওএমআর শিটের জেরক্স কপিও ছিল। ইডির ওই মামলায় মার্চের শুরুতে অয়ন শীল জামিন পেয়েছিলেন। এদিন অয়ন শীলের জামিনের আর্জির বিরোধীতা করে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, “এখনও এই মামলায় তদন্ত চলছে। অয়ন শীলের বিরুদ্ধে সতেরোটি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি করার অভিযোগ রয়েছে।
এর মধ্যে সিবিআই দক্ষিণ পুরসভায় তদন্ত করতে পেরেছে।” এরপরই তার জামিনের আর্জি খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘১১ মাস যথেষ্ট নয়। দু’তিন বছর হলে কথা ছিল। এখনো যেহেতু সিবিআইয়ের তদন্ত সাপেক্ষে তাই জামিনের আর্জি খারিজ করা হল।’ সিবিআই আধিকারিকদের দাবী, “অয়ন শীল পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে বিভিন্ন জনের থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন। বাড়ি থেকেও এই সংক্রান্ত একাধিক নথি সহ হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আর তিনি জেরায় স্বীকার করেছিলেন যে, পুরসভায় চাকরী পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় চল্লিশ কোটি টাকা তুলেছিলেন।” প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ, মানিক ভট্টাচার্য, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়রা ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন। শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন পাওয়া যায়নি। এবার সেই তালিকায় অয়ন শীলের নাম জুড়েছে।