নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ যত দিন যাচ্ছে রাজধানী দিল্লি দূষণদাপটে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে উঠছে। আজও বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) চারশোর অধিক রয়েছে। আর পাল্লা দিয়ে ধোঁয়াশার ঘনঘটাও দেখা যাচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই দৃশ্যমানতা কমে যাচ্ছে। সড়ক ও বিমান পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের তথ্য বলছে, দিল্লির বাতাসের গুণগত মান ৪০৬। যা অত্যন্ত খারাপ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। দূষণের দাপটে বাড়ছে কাশি, চোখজ্বালা এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গও দেখা দিচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কোন এলাকায় কি পরিস্থিতি তা ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারী চালানো হচ্ছে। এমস ও প্রগতি ময়দান এলাকা ধোঁয়াশার চাদরে মুড়ে রয়েছে। প্রগতি ময়দানে বাতাসের গুণগত মান ৩৫৭। যা খুব খারাপ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। দূষণের অন্য হটস্পটগুলি হলো কালিন্দি কুঞ্জ এবং ইন্ডিয়া গেট। এখানে একিউআই ৪১৪। যা অত্যন্ত ভয়ানক পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। এদিকে, রাস্তায় যাতে একসাথে অনেক গাড়ি না নামে, তার জন্য দিল্লির সরকার সরকারী অফিসগুলিতেও সময় বদলানোর কথা ঘোষণা করেছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ফলে রাস্তায় যান চলাচলও কমবে, তাতে দূষণের মাত্রাও কিছুটা কমবে। নয়া ঘোষণা অনুযায়ী, সকালবেলা ৯টায় কেন্দ্রীয় সরকারী অফিসগুলি শুরু হবে। আর ৫টা ৩০ মিনিটে শেষ হবে। আর সকালবেলা ১০ টায় রাজ্য সরকারের অফিসগুলি শুরু হবে। ৬টা ৩০ মিনিটে শেষ হবে। আর দিল্লি পুরনিগমের কাজ সকালবেলা ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ও বিকেলবেলা ৫টায় শেষ হবে। অন্যদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (গ্র্যাপ-৩) চালু হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
যে এলাকায় বেশী যানবাহন চলে, সেখানে নিয়মিত জল ছেটানো হচ্ছে। কিন্তু দিল্লিবাসীদের দাবী, ‘‘সরকারের এই প্রচেষ্টাও খুব একটা কাজে আসছে না।’’ এছাড়া দূষণ বৃদ্ধি করতে পারে এমন কাজগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিএস-৩ পেট্রোল এবং বিএস-৪ ডিজেল গাড়িগুলি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি, দিল্লির বাইরে থেকে আসা ডিজেল চালিত ছোটো বাণিজ্যিক গাড়িগুলিকে জরুরী পরিষেবা ছাড়া ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আর আইন অমান্য করলে কুড়ি হাজার টাকার অবধি জরিমানা করা হতে পারে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here