নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমঃ দীর্ঘদিন থেকে বীরভূমের সিউড়ির মিনিস্টিল এলাকায় জমি সংক্রান্ত অশান্তি চলছিল। আজ এই অশান্তিকে ঘিরে প্রকাশ্যে বন্দুক হাতে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এদিন সকালে ওই দুষ্কৃতীরা এলাকায় বন্দুক হাতে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়ান। গুলিও ছোঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তবে এলাকাবাসীরাই অভিযুক্তদের ধরে বেঁধে ফেলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন কয়েক জন যুবক বন্দুক হাতে এলাকায় ঢুকে পড়ে। এরপর বন্দুক উঁচিয়ে শাসাতে থাকে। এমনকি শূন্যে গুলিও ছোঁড়া হয়। কিন্তু এলাকাবাসীরা কৌশলে ওই যুবকদের ধরে ফেলেন। তারপর বেঁধে মারধর করেন। সিউড়ি থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠে। অতঃপর পুলিশ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ শুরু করেন। ধরপাকড়ও করেন।
পরে সিউড়ি থানার আইসি ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন। সে সময় তাঁর কলার ধরে হুমকিও দেওয়া হয়। পুলিশ এই ঘটনায় এখনো অবধি ছ’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এক জন যুবক গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হয়। এরপর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পাশাপাশি, পুলিশ এলাকা থেকে বুলেট ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে।
বীরভূমের তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, ‘‘এটি জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই। পুলিশ অতি সক্রিয়তার সাথে ঘটনার মোকাবিলা করছে। আমরা দলগত ভাবে পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি অভিযুক্তদের রাজনৈতিক রং না দেখে ব্যবস্থা নিতে।’’ কিন্তু দুষ্কৃতীদের হাতে বন্দুক এসেছে কিভাবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কাজল শেখ সেই বিষয় বলেন, ‘‘বীরভূমকে উত্তপ্ত করার জন্য ঝাড়খণ্ড থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাঠানো হয়। দেখতে হবে এই আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে এসেছে।’’