নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ নেত্রীর সভা মঞ্চে উঠবেন ঠিক তখনই মুর্শিদাবাদের পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম ও নিয়ামত শেখ কলকাতায় বসে সাংবাদিক বৈঠক করে হুমায়ুন কবীরের সাসপেনশনের নির্দেশ ঘোষণা করেন। হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের মুখেই প্রথম নিজের সাসপেনশনের কথা জানতে পারেন। সাসপেন্ড হওয়ার পর নেত্রীর সভায় থাকবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, “কালই রিজাইন দেব, দলের সাথে আর কোনো সম্পর্ক রাখব না। !” বেশ খানিকটা বিরক্ত হয়ে বলেন, “আমাকে জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ওনার সাথে কথা বলব। যদি থাকতে বলেন থাকব, নাহলে বেরিয়ে যাব।”

হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদ ইস্যুতে গতকালই ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট করেছিলেন, “দল এই ধরণের মন্তব্য বা পদক্ষেপকে সমর্থন করে না।” আর আজ যখন হুমায়ুন কবীর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচীতে পৌঁছে গিয়েছেন তখন তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, “দল হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করেছে।” আর হুমায়ুন কবীর এই প্রসঙ্গে বলেন, “ববিদার কোনো কথার আমি জবাব দেব না।” আগামীকাল হুমায়ুন কবীর দল থেকে নিজেই ইস্তফা দেবেন। আর ২২ শে ডিসেম্বরে বহরমপুরের টেক্সটাইল মোড়ে নতুন দলের সূচনা করার কথা জানান। যেখানে ১৩৫ টা সিটে লড়বেন।

পাশাপাশি নিজের সাসপেনশন প্রসঙ্গে জানালেন, “আমি এই সাসপেনশনকে স্বাগত জানাচ্ছি। দলের কোনো সাংগঠনিক পদে হুমায়ুন কবীর ছিল না। এখনও নেই। কাজেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড হওয়াটা আমার কাছে গুরুত্বহীন। আমার কাছে আকস্মিক আঘাত আসারও বিষয় নয়।” সেই সাথে তৃণমূলকে সরাসরি হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, “এর যোগ্য জবাব তৃণমূলকে রাজ্য থেকে ক্ষমতাচ্যুত করে এর খেসারত দেবে। আমি একজন মুসলিম। বাবরি মসজিদ করার জন্য আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাতে আমার জীবন চলে গেলে যাবে। আমি শহিদ হলে হব। কিন্তু আমি পিছু হটব না। ৬ তারিখে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস হবেই।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here









