মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে বসিরহাট আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথেই সাক্ষী ভোলানাথ ঘোষ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আর ছোটো ছেলের সত্যজিৎ ঘোষের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরই ভোলানাথবাবুর বড়ো ছেলে বিশ্বজিৎ ঘোষ খুনের অভিযোগ তুলে জানান, “শাহজাহান জেল থেকেই ন্যাজাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সবিতা রায় ও মোসলেম শেখের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। তাঁরাই মিলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এরা এখন সন্দেশখালিতে র্যাকেট চালাচ্ছে।” তবে মোসলেম শেখ সম্পূর্ণটাই মিথ্যে বলে দাবী করেছেন।

বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “আমি যতটা শুনেছি ড্রাইভারের নাম আলিম। গাড়িটা ছিল লাউখালির। ওই লরিটা আগে থেকেই গাড়িটাকে ফলো করছিল। তারপর পাশ থেকে দু’বার ধাক্কা মেরেছে। তিনবারের বার ধাক্কা মেরে জলে ফেলে দেয়।” এরপরই তিনি বলেন, “ওইখানে একটাই রাজ চলে শাহজাহান শেখের। তবে এখন ন্যাজাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সবিতা রায় ও মোসলেম শেখ দাপট চালাচ্ছেন। এরা শাহজাহানের র্যাকেট চালাচ্ছে। এটা একশো শতাংশ খুন। শাহজাহান শেখের ইন্ধনে সবিতা আর মোসলেম করিয়েছে।“এরপর তাঁর সংযোজন, শাহজাহান জেলে বসেই ফোন থেকে নিজের বৌ-এর সঙ্গ গল্প করে। এর আগেও অভিযোগ হয়েছে।

যদিও, মোসলেম জানিয়েছেন, এটা পরিষ্কার মিথ্যা কথা। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। আর সবিতা বলেন, “ওদের কথা ভিত্তিহীন। দুর্ঘটনা নিশ্চয় বেদনাদায়ক। পুলিশ তদন্ত করুক। আর আমি নিজেই ওদের বাড়িতে আজ দুবার গেছি।” গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়া এলাকার মণ্ডল পরিবারও অভিযোগ করেছিলেন মোসলেম শেখের বিরুদ্ধে। যে জায়গায় শাহজাহানের মার্কেট ছিল সেই জায়গার পুরোটাই মণ্ডল পরিবারের রায় দেয় কোর্ট। এরপরই এই মোসলেমের অনুগামীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here









