নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ হুগলীর খানাকুল এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে পঞ্চায়েত সমিতির দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ধুন্ধুমার শুরু হয়। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। আর বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের মারধরও করা হয়।
জানা গেছে, তৃণমূল এলাকার এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডগঠন করার পর থেকেই পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নইমুল হক ওরফে রাঙা গোষ্ঠীর সাথে এই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি দিপেন মাইতির গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এদিন পঞ্চায়েত সমিতির বৈঠকে দিপেন মাইতির অনুগামী বেশ কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাইতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। আর তখনই পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি টিকিয়ে রেখে নিজের একাধিপত্য ধরে রাখতে নইমুল হক মরিয়া হয়ে ওঠে। আর শম্পা মাইতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি নইমুল হকের গোষ্ঠীর হাতে তাপস ঘোষ নামে এক জন সদস্য আক্রান্ত হয়ে সভাস্থল থেকে বেরিয়ে আসেন। সেখানে তাপসবাবুর পোশাকও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আর বাইরে দুই গোষ্ঠীর শতাধিক মানুষ জমায়েত হন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ফলে এদিন পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে বিশাল পুলিশ ও র্যাফ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। পাশাপাশি পুলিশ তৃণমূলের উভয় পক্ষের জমায়েত সরাতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here