নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ গত শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের চার নম্বর জেলা পরিষদ আসনের কংগ্রেস প্রার্থী আনারুল হক ওরফে বিপ্লব। বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই জেলে থেকেই সামসেরগঞ্জে জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনের নির্বাচনে জয়ী হলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২ রা জুলাই আনারুল হক ভোটের প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন। কংগ্রেসের দাবী, ‘‘সামসেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় স্থানীয় কংগ্রেস কর্মী আরিফ শেখও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।’’

- Sponsored -
পুলিশ আমিরুলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করলেও সামসেরগঞ্জের তিনপাকুরিয়া অঞ্চলের ৮৪ নম্বর বুথের তৃণমূল সভাপতি আশরাফুল হককে গ্রেফতার করেছিল। এদিকে আনারুল তৃণমূলের টিকিট না পেয়েই পঞ্চায়েত ভোটের আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে জেলা পরিষদের নির্বাচনে জেলবন্দি অবস্থাতেই ৯০০ ভোটেরও বেশী ব্যবধানে জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানের ভাইপোকে হারিয়েছেন।
তবে আনারুল টিকিট না পাওয়ায় খলিলুরের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। কিন্তু তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ‘‘তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব টিকিটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পুলিশ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে গ্রেফতার করেছে। এখানে বঞ্চনা বা প্রতিহিংসার কোনো ব্যাপার নেই।’’
জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘শাসকের হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই বিপ্লবকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করানো হয়েছিল। এদিকে ভোটের ফল বুঝিয়ে দিল শাসকের সন্ত্রাসের চেয়ে জনতার রায় অনেক বেশী শক্তিশালী।’’