বাপি রায়ঃ কলকাতাঃ এবার মা কালীকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হলো বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের ভোপালের একটি থানায়। মধ্যপ্রদেশের অপরাধ দমন শাখা ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫এ ধারায় এই মামলা করেছে।
এদিন মহুয়া মৈত্রের বিতর্ক মন্তব্য প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান বলেন, ‘‘ওঁর মন্তব্য হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে। আমরা হিন্দু দেব-দেবী সম্পর্কে এমন মন্তব্য বরদাস্ত করব না।’’
প্রসঙ্গত, মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত ভারতীয় পরিচালক লীনা মানিমেকালাইয়ের একটি তথ্যচিত্রের পোস্টার নিয়ে। সেখানে মা কালী রূপে এক জন মহিলাকে ধূমপান করতে দেখা গিয়েছে। এই নিয়ে চলা বিতর্কের মধ্যে সোমবার কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে মহুয়া মৈত্রকে প্রশ্ন করা হলে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
এরপরই রাজনৈতিক তর্জা জোরকদমে শুরু হয়ে যায়। তবে শাসকদল সাংসদের বক্তব্যকে সমর্থন করেনি। তারপর মহুয়া মৈত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া তৃণমূলের টুইটার পেজ আনফলো করেন। অন্যদিকে বিজেপি মহুয়া মৈত্রের গ্রেফতারির দাবীতে কলকাতায় পথে নামে। এমনকি বৌবাজার থানায়ও অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এদিকে বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীও তার বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর অভিযোগ করেছেন, ‘‘মহুয়া মৈত্র হিন্দুদের দেবীকে অপমান করেছেন। দশ দিনের মধ্যে রাজ্যের পুলিশ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে একাদশতম দিনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন।’’
এছাড়া বলেছেন, ‘‘যদি কলকাতা পুলিশ নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করে। তাহলে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো না কেন তা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন। এছাড়া এই নিয়ে মহুয়ার মৈত্রের লোকসভা এলাকায় গিয়েও সভা করা হবে বলে জানানো হয়।
যদিও এই বিতর্কের প্রেক্ষিতে মহুয়ার মৈত্র টুইট করে জানিয়েছেন যে, ‘‘তিনি নিজে ‘মা কালী’র উপাসক। বিজেপির গুন্ডামিতে ভয় পান না।’’