নিউজ ডেস্কঃ দুর্দান্ত ফর্মে খেলা শুরু করেছিলেন লিয়োনেল মেসি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে খেলা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে পেনাল্টি থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিলেন। রেফারি ভার প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দিয়েছিলেন। মেসিও গোল করতে কোনো ভুল করেননি।
প্রথম দুই মিনিটের মধ্যেই আর্জেন্টিনা এগিয়ে যেতে পারত। ডান প্রান্তে বল পেয়ে বক্সের কাছে এসে দি মারিয়া লাউতারো মার্তিনেজের দিকে বাড়ান। মেসি মার্তিনেজের ব্যাক হিল ধরে বাম পায়ের মাটি ঘেঁষা শটে গোল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু গোড়ালির দিকে বল লাগায় ঠিক জায়গায় বল যায়নি। সৌদির গোলরক্ষক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন।
এরপর ২২ মিনিটের মাথায় মেসি আরেক বার সৌদি আরবের জালে বল জড়ালে লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তোলেন। মেসির উদ্দেশ্যে যখন বল বাড়ানো হয়েছিল তখনই তিনি অল্পের জন্য অফসাইডের ফাঁদে থাকায় রেফারি গোল বাতিল করেন। তারপর পাঁচ মিনিট পরে মার্তিনেজ আরো এক বার গোল করে। তবে রেফারি প্রথমে গোল দিয়ে দেন পরে ভার প্রযুক্তির সাহায্যে দেখা যায় মার্তিনেজ অফসাইডে ছিলেন। তাই গোল বাতিল হয়।
সৌদি আরব একটু গা-জোয়ারি ফুটবল খেলছিল। মেসিকে জোনাল মার্কিংয়ে রাখার চেষ্টা করছিল। তাই মেসি বার বার জায়গা বদল করে খেলছিলেন। ৩৪ মিনিটের মাথায় মার্তিনেজ মেসির পাস থেকে আবার গোল করেন। কিন্তু সেটিও রেফারি অফসাইডের কারণে বাতিল করেন। আর প্রথমার্ধেই অফসাইডের কারণে আর্জেন্টিনার তিনটি গোল বাতিল হয়েছে।
এদিকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও আর্জেন্টিনার ভালো হলো না। দলের রক্ষণের ভুলে সালে আলশেহরি ৪৮ মিনিটের মাথায় গোল করলেন। সমতা ফেরাল সৌদি আরব। পাঁচ মিনিটের মধ্যে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় গোল খেয়েছে। আলদাওশারি বক্সের বাইরে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে গোল করলেন। তাতে আর্জেন্টিনা ১-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে।