নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ গতকাল রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ আনলেন লোকসভার মহিলা নিরাপত্তা কর্মী চন্দ্রকলা। পাশাপাশি রাজ্যসভার কাচের দরজা ভাঙা ও তাতে আহত হওয়ার ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানিয়ে লোকসভার সচিবকে লিখিতভাবে অভিযোগও করেছেন।
এদিকে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন টুইটারে একটি ভিডিও তুলে দিয়ে লিখেছেন, “সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ সরকার পেগাসাস কাণ্ডে আলোচনা করতে নিমরাজি হয়। এরপর ৩০ জন বিরোধী সাংসদ ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। আর ঠিক সকালে ১১ টা ১৩ মিনিট নাগাদ প্ল্যাকার্ড হাতে থাকার কারণে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে ছ’জন সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়। তারপর দুপুর ৩ টে ৩৫ মিনিট নাগাদ সেদিনের মতো মুলতুবি হওয়ার পরেই তিন জন তৃণমূল সাংসদকে সংসদ কক্ষে ঢুকতে একজন পুরুষ মার্শাল বাধা দেন। তাহলে এটা কি গণতন্ত্র চলছে!”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এই ছ’জন বরখাস্ত হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী, অর্পিতা ঘোষ, মৌসম নূর, আবীর রঞ্জন বিশ্বাস এবং মহম্মদ নাদিমুল হক। সুতরাং একদিনে যখন পেগাসাস নিয়ে বিরোধী সরকার দ্বন্দ্ব চরমে তখন নিরাপত্তার প্রশ্নটি নতুন মাত্রা নিতে পারে। এখন দেখার সরকার কি অবস্থান নেয়। যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এখন সরকার চাইছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লোকসভা অধিবেশন শেষ করতে। এখন পরবর্তী তরজা কতদূর এগোয় তা কেবল সময়ের অপেক্ষা।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এদিকে তৃণমূল সাংসদদের সাসপেন্ড করায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে জানিয়েছেন, “সাময়িকভাবে দলের ছ’জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কার্যত পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। দলের সাংসদদের ওপর এই হামলা ইঙ্গিত দেয় যে বিজেপি ৫৬ ইঞ্চির পরাজয় স্বীকার করেছে। এই জাতীয় সাসপেন্ড করে তৃণমূলের মুখ বন্ধ করা যাবে না। তৃণমূল কংগ্রেস জনগণের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here