রাষ্ট্রপতিকে অবমাননা করায় দলের সর্মথন থেকেও বঞ্চিত হলেন অখিল গিরি

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ আজ রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে গিয়ে তৃণমূলের এক সভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে গিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিরুদ্ধে কুমন্তব্য করলেন। এরপরই বিতর্ক চরমে ওঠে।

অখিল গিরি ওই সভায় জানান, ‘‘আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা?’’ এই সভায় তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও উপস্থিত ছিলেন।


এই ঘটনায় এদিন সর্বভারতীয় তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি টুইটের মাধ্যমে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে লেখা হয়েছে, ‘‘ভারতের মাননীয় রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমাদের পরম শ্রদ্ধা। আমাদের দলের বিধায়কের করা দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করি। স্পষ্ট করে জানাতে চাই যে আমরা অখিল গিরির মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করি। নারীর ক্ষমতায়নের যুগে এই ধরনের দুর্ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।’’


এই ঘটনার পর অখিল গিরি দুঃখপ্রকাশ করে জানান, ‘‘এক মাস আগে থেকে আমার সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন জায়গায় কটূক্তি করেছেন। আমি বয়স্ক মানুষ। আমার মনে ক্রোধ জন্মেছিল। আমি রাষ্ট্রপতি মহোদায়াকে কোনো অসম্মান করিনি। তাঁর প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে। যে কথা আমার মুখ থেকে বেরিয়েছে তা ক্রোধের বশে বেরিয়ে এসেছে। আমি অনুতপ্ত।’’


কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি আয়ত্তে না এলে, রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখে দুঃখপ্রকাশ করে চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নেন। তবে এরপরেও বিজেপির তফশিলি মোর্চা সমালোচনা করছেন। সংগঠনের সভাপতি তথা হবিবপুরের বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু বলেন, ‘‘আদিবাসী দলিত শ্রেণীর পরিবার থেকে উঠে আসা একজন তফশিলি জনজাতি মহিলাকে দেশের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করা হয়েছিল।

যিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনিও দেশের আদিবাসী সম্প্রদায় ও পিছিয়ে পড়া মানুষকে সম্মান দিয়েছেন। জনজাতি মহিলা দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতির পদে বসিয়েছেন। অথচ আমরা দেখলাম তাঁর কিভাবে অসম্মান করা হলো। আসলে তারা বুঝিয়ে দিয়েছেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের কোনো সম্মান নেই।’’

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031