চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ এক সপ্তাহে দু’দুবার রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছে। গত রবিবার দলের সাংগঠনিক জেলা ডায়মন্ড হারবারের সহ সভানেত্রী সবিতা চৌধুরীর নেতৃত্বে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের বিজেপির দপ্তরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আর গতকাল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার কর্মীরা ওই দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার নবেন্দুসুন্দর নস্করকে জেলার নতুন সভাপতি করা হয়েছে। কিন্তু গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে জয়ী নবেন্দুসুন্দরকে জেলার সভাপতি করা হয়েছে কেন, তা নিয়ে স্থানীয় কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে আসেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এছাড়া ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ সর্দারের বিরুদ্ধে আলোচনা না করে কুড়ি জন মণ্ডল সভাপতি বদলের অভিযোগ ছিল। কিন্তু দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য ওই বিক্ষোভকে অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেছিলেন। আর এদিন শমীক ভট্টাচার্য নিজেই দপ্তরে প্রবেশ করার সময় বিক্ষোভের মুখে পড়ে যান।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তাঁকে মথুরাপুরের কর্মীরা ঘিরে ধরে অভিযোগ জানাতে থাকেন। এরপর শমীক ভট্টাচার্য অভিযোগকারীদের কথা শুনে বিষয়টি নিয়ে নেতৃত্বের সাথে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দপ্তরে প্রবেশ করে সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ‘‘যেটা ঘটেছে সেটা কখনো অভিপ্রেত নয়। কারোর কিছু নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা দলের নেতৃত্বকে জানানো উচিত।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অন্যদিকে যেখানে মথুরাপুরের বিজেপি কর্মীরা নবেন্দুসুন্দর নস্করের কুশপুতুলও দাহ করেন সেখানে নবেন্দুসুন্দর নস্কর বলেন, ‘‘আমি নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে জেলার সভাপতি হয়েছি। রাজ্য দপ্তরে কয়েকজন গিয়েছেন। আমাকে নিয়ে জেলার বাকিদের কোনো সমস্যা নেই।
কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে। ওরা জেলায় ফিরলে আমি নিজে কথা বলব।’’ যদিও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর নেপথ্যে দলের জেলা নেতৃত্বের কেউ কেউ রয়েছেন। তাই কর্মীরা তাদের নির্দেশ মেনেই রাজ্য দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান।