নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হাওড়াঃ বেহালায় মা-ছেলের খুনের স্মৃতি এখনো তরতাজা। খুনের কোনো কিনারাও হয়নি। আর এরই মধ্যে এবার হাওড়ার একটি বাড়ির ঘর থেকে মা ও ছেলের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থলেই মা’র মৃত্যু হলেও জীবিত অবস্থায় ছেলেকে উদ্ধার করে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ঘণ্টা কয়েকেরর মধ্যেই ছেলেরও মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাওড়া থানার অন্তর্গত ভৈরব বেড লেনের একটি বাড়ির দোতলায় মা কৃষ্ণা হাইত এবং ছেলে অভিষেক হাইত থাকতেন। অভিষেকের বিয়ে হলেও স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য থাকায় স্ত্রী এখানে থাকতেন না। অভিষেকের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকান কিন্তু কয়েক মাস থেকে বাজারে অনেক দেনা হয়ে গিয়েছিল। আর সেই দেনা মেটানো নিয়ে বাড়িতে অশান্তি চলছিল।
কৃষ্ণাদেবীর আত্মীয়া সোমা হাইতের জানান, “অভিষেক স্ত্রীর থেকে গয়না চেয়েছিলেন। সেই গহনা বিক্রি করে দেনা মেটানোর কথা ভেবেছিলেন তবে স্ত্রী রাজি না হওয়ায় পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। তাই স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যান।
এদিকে মা ও ছেলের মধ্যেও প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকতো। গতকাল দুপুরে হঠাত্ করেই ঘরের ভিতর থেকে গোঙানোর আওয়াজ আসতেই ঘরে উঁকি মেরে দেখা যায় জেঠিমা উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে। মেঝেতে রক্ত ভেসে যাচ্ছে। এরপর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে অভিষেককে বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়। এছাড়া দু’জনেরই হাতের শিরা কাটা ছিল। মেঝেতে রক্ত মাখা ব্লেড পড়ে ছিল”।
তারপর হাওড়া থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কৃষ্ণাদেবীকে খুন করেই কি অভিষেক আত্মঘাতী হয়েছেন? না দু’জনেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে? নাকি এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে সেই উত্তর খুঁজতে মৃতদেহগুলি হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।