নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ কয়েক মাস আগে মেদিনীপুরের ঘাটাল থানা এলাকায় খোকন বর দলুই নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। পরিবারের তরফে অভিযোগ ওঠে যে, গ্রামের এক মহিলা ওই যুবককে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে। এই ঘটনার পর বেশ কিছুদিন ওই মহিলা গ্রাম ছাড়া ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খোকন মারা যাওয়ার পর আত্মীয়রা ওই মহিলার বাড়িতে চড়াও হয়ে হামলা চালালে ঘাটাল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল। আর ওই মহিলা বাড়ি ফেরার পর ওই যুবকের পরিবারকে কটুক্তিও করেন। তাই নতুন করে অশান্তি তৈরী হয়।
আর গতকাল সেই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল নিহত যুবকের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি ওই মহিলার বাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
দলুই পরিবারের সদস্য রেনুকা বর দলুই জানান, “ওই মহিলাটি বিষ খাইয়ে পালিয়ে যায়। দু’জনকে ধরাও হয়েছিল। আবার ছেড়েও দেওয়া হয়। কিছুদিন হলো বাড়িতে ফিরেছে। বউমা’রা বাজার করতে গেলে উল্টোপাল্টা কটুক্তি করে। বর বটি নিয়ে বেরিয়ে আসে। এই নিয়ে পাল্টা বলতে গেলে ঝামেলা-অশান্তি শুরু হয়। আর যদি পাবলিক চুল কেটে দেয় তাতে আমাদের তো কিছু বলার নেই”।
অন্যদিকে আক্রান্ত মহিলার স্বামী বলেন, “আমার বউকে ঘর থেকে মারতে মারতে নিয়ে গিয়েছে। চুল কেটে দিয়েছে। আমি বলেছি, অভিযোগ থাকলে থানায় যাও। ওরা বলছে থানায় যাবে না। আমার মোটর সাইকেলটা ভেঙেছে। এরপর বাড়িতেও ভাঙচুর করে”।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সনৎ সিংহ রায় বলেছেন, “একজন মহিলার চুল কেটে মারধর কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনা কে ঘটিয়েছে আমি জানি না। কারণ আমি সেখানে ছিলাম না। চোখে দেখিওনি। তবে আইন আইনের পথে চলুক। কেউ দোষী হলে তাকে আইন শাস্তি দেবে”।
অবশেষে ওই মহিলার পরিবারের তরফ থেকে ঘাটাল থানায় অভিযোগ জানানো হলে ঘাটাল থানার পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করার পাশাপাশি ছ’জনকে গ্রেপ্তার করে।