চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ ফের বাংলা চলচ্চিত্র জগতে নক্ষত্র পতন ঘটলো। আজ ভোরবেলা প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন প্রখ্যাত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। মৃত্যুকালীন বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৭ বছর।
জানা গিয়েছে, গত দু-তিন দিন ধরে পেটের সমস্যা ভুগছিলেন। গতকাল স্টার জলসার ‘ইসমার্ট জোড়ি’ রিয়্যালিটি শো’তে শ্যুট করতে আসেন। সেখানে আচমকা প্রেসার ৮০ তে নেমে আসে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে ব্ল্যাক কফি দেওয়া হয়। সম্ভবত দুপুর ২ টো ৪৫ মিনিট নাগাদ বাড়িও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর এদিন ভোরবেলা বাড়িতেই মারা যান।
অভিষেক চট্টোপাধ্যায় রূপোলী জগতে ছোটো থেকে বড়ো যেকোনো পর্দায় দাপিয়ে অভিনয় করে গেছেন। অভিনয় ছিল তাঁর প্রাণ। লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন নিয়ে থাকতেন। নব্বইয়ের দশক জুড়ে অভিষেক চট্টোপাধ্যায় একের পর এক হিট দিয়ে গেছেন। ১৯৮৬ সালে তরুন মজুমদারের ‘পথভোলা’ ছবি দিয়েই রূপোলী পর্দায় পদার্পণ করেন।
এরপর ‘দহন’, ‘বাড়িওয়ালি’, ‘আলো’ ইত্যাদি ব্লকব্লাস্টার ক্লাসিক ছবিতেও কাজ করেছেন। তাপস পাল, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের নাম একসাথে উচ্চারিত হত। শতাব্দী রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতন তখনকার প্রথম সারির নায়িকাদের সাথে চুটিয়ে কাজ করেছেন।
এছাড়া দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর থেকে ‘ইচ্ছেনদী’, ‘অপুর সংসার’, ‘কুসুম দোলা’, ‘ফাগুন বউ’, ‘মোহর’, ‘খড়কুটো’ এর মতন হিট ধারাবাহিকেও অভিনয় করে গেছেন। গতকাল অবধিও শ্যুটিং ফ্লোরে সকলের সাথে হেসে কথা বলেছেন। কিন্তু আজকের এই মৃত্যুর খবর সকলের কাছে একেবারে অবিশ্বাস্যজনক। অভিনেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা টলিউড একেবারে শোকস্তব্ধ।