নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শিলিগুড়িঃ যেখানে মণিপুরের দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ঠিক সেখানে এই রাজ্যের শিলিগুড়ির বাগডোগরায় একটি সালিশী সভায় খোদ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার সামনে এক জন আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা দিনমজুরী করে স্বামী সহ তিন জন শিশুকে নিয়ে সংসার চালান। ঘটনার সূত্রপাত ১৯ শে জুলাই। ওই দিন স্থানীয় বাসিন্দা তথা ওই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত প্রদীপের সাথে এলাকার এক মহিলার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এই অভিযোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সালিশী সভা বসে। ওই সময় প্রদীপের স্ত্রী গৌরী সরকারের সাথে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
দু’পক্ষকে থামাতে গিয়ে নির্যাতিতা মহিলাও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। ওই ঘটনার পর দিন আবার সালিশী সভা ডাকা হলে নির্যাতিতা উপস্থিত হতেই তার উপর চড়াও হয়ে পরনের পোশাক ছিঁড়ে দিয়ে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। সেই সময় ঘটনাস্থলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা বুলবুলি সিংহ উপস্থিত ছিলেন।

- Sponsored -
রবিবার নির্যাতিতা মহিলা এই ঘটনায় বাগডোগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বাগডোগরা থানার পুলিশ তদন্তে নেমে দুই জন মহিলা সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছেন। ধৃতরা বাগডোগরার ভুজিয়াপানির বাসিন্দা শিবা বাল্মিকী, ললিতা বাল্মিকী, গৌরী সরকার ও প্রদীপ সরকার।
এদিকে বুলবুলি সিংহ জানান, ‘‘মারধর বা হাতাহাতি হয়েছে কিন্তু বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়নি। বাকিটা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’’ জেলার পুলিশ কমিশনারেটের অতিরিক্ত ডিসি শুভেন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘যেমনটা বলা হচ্ছে তেমনটা নয়। বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়নি। তদন্ত করা হচ্ছে। দু’টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যার ভিত্তিতে শিবা, ললিতা, গৌরী এবং প্রদীপকে গ্রেফতার করে আপাতত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে।’’