নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমঃ আজ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমে এসে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারী নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। বিজেপিকে তোপ দেগে অভিযোগ করেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে গোরু পাচার হয়ে বাংলায় আসছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অথবা কেন্দ্রীয় সরকার কেউ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।’’ পাশাপাশি যে দুই রাজ্য থেকে গোরু পাচার হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সংস্থা ওই দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সমন পাঠাচ্ছে না কেন তা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট গ্রেফতার হন। নভেম্বর মাসে তাঁকে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) নিজেদের হেফাজতে নেয়। পরে মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও ইডির হাতে গ্রেফতার হয়। এখন বাবা-মেয়ে দু’জনেই তিহাড় জেলে বন্দি।
ওই মামলার গতিপ্রকৃতি এবং অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারী নিয়ে প্রশ্ন তুলে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তারাপীঠে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘যে ভাবে অজিত পওয়ার, শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্বশর্মা, নারায়ণ রানে বিজেপিতে গিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলও বিজেপিতে গেলে ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে যেতেন। এদিকে অনুব্রত মণ্ডলকে গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে, দশ দিন আগেই মেমারীতে (পূর্ব বর্ধমানে) উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে গরু নিয়ে আসা হচ্ছিল (বেআইনী ভাবে)। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ধরেছে।’’
এরপর গোরু পাচার মামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের কোনো প্রতিনিধি বিহারে বা উত্তরপ্রদেশে নেই। তবে সেই রাজ্যগুলিতেও গোরু পাচার হয়ে বাংলায় ঢুকছে। ১৪ মাস-১৮ মাস অনুব্রত মণ্ডল জেলে। তার পরেও উত্তরপ্রদেশ বিহার থেকে গোরু পাচার হয়ে আসছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে ক’বার সমন পাঠানো হয়েছে? যদি বিজেপির এক জন নেতাকেও সমন পাঠানো হয়। হাইকোর্ট সেটা ‘স্টে’ (স্থগিতাদেশ) করে দেবে।’’