চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে চলা ২১ শে জুলাইয়ের আয়োজিত কর্মসূচীতে আগামী দিনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শোনার উপলক্ষ্যে আমজনতা সহ তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা একজোটে উপস্থিত হয়েছেন।
এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লেখেন, ‘‘শহীদ দিবস আমাদের হৃদয়ে অগণিত আবেগ জাগিয়ে তোলে। আজ বাংলার সেই ১৩ জন বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়, যাঁরা অত্যাচারী শক্তির সাথে লড়াই করে গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাই এঁদের থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে আমি ন্যায়সঙ্গত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাব।’’
আর দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমাবেশের মঞ্চে উঠে নিজের বক্তব্য পেশ করলেন। তিনি বলেন, ‘‘যদি কেউ ভাবে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূলকে দুর্বল করবে, তাহলে ভুল করছে। তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহা, যতো পোড়াবে, যতো আঘাত করবে ততো শক্তিশালী হবে। ইন্ডিয়াকেও আটকানো যাবে না।
এছাড়া আগামী ৫ ই আগস্ট তৃণমূল কর্মীরা বাংলায় বিজেপির জেলা থেকে ব্লকের ছোটো-বড়ো-মেজো-সেজো সব নেতার বাড়ি ঘেরাও করা হবে। কিন্তু ওই ঘেরাও অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে। বাংলার সৌভাতৃত্বের ঐতিহ্য মেনে তা করতে হবে। বিজেপি নেতার পরিবারে কোনো প্রবীণ নাগরিক থাকলে তাঁকে আটকানো চলবে না।
তবে সকালবেলা ১০ টা থেকে সন্ধেবেলা ৬টা অবধি ৮ ঘণ্টা ওই বিজেপি নেতাকে বাড়ি থেকে বের হতে বা ঢুকতে দেওয়া হবে না।” পাশাপাশি আগামী ২ রা অক্টোবর অর্থাৎ গান্ধী জয়ন্তীতে একুশ দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ বাংলার অধিকারের পাওনা আদায়ের জন্য দিল্লি চলো ডাক দিলেন। সেখানে কৃষিভবনের সামনে অভিযান করা হবে।’’
দাবী করেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। সেই টাকা উদ্ধার করতে তিনটি রাস্তা রয়েছে। দিল্লির কাছে আবেদন করা। পায়ে পড়া। নইলে অধিকার ছিনিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করা। প্রথমটা তৃণমূল করেছে। কিন্তু হকের টাকা উদ্ধারের জন্য কারোর পায়ে পড়বে না।’’