মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরী দেওয়ার নাম করে আট লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। এদিকে চাকরী না পাওয়ায় টাকা চাইতে গেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাটের স্বরূপনগর ব্লকের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের পূর্ব পোলতার বাসিন্দা ইমান আলি ধাবকের জামাই অর্থাৎ গাইঘাটা থানার সুবিদপুরের বাসিন্দা ইসমাইল মণ্ডল ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। এরপর ইমানের পরিচিত এক তৃণমূল কর্মীর মাধ্যমে গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
উপপ্রধান জানান, ‘‘তাঁর তৃণমূলের অনেক বড়ো নেতা-মন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ আছে। তাই আট লক্ষ টাকা দিলে চাকরী পাওয়া যাবে।’’ এই কথা অনুযায়ী ইসমাইল ২০২০ সালের ৯ ই ডিসেম্বর উপপ্রধানের হাতে নগদ আট লক্ষ টাকা দেন। কিন্তু তার নাম প্যানেলে না থাকায় গোলমাল শুরু হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এদিকে টাকা ফেরত চাইলে উপপ্রধান নানা ভাবে ইমান ও ইসমাইলকে হুমকি দেন। এই বিষয়টি নিয়ে গ্রামে সালিশি সভা বসলেও টাকা ফেরত পাওয়া যায়নি। আর অতি সম্প্রতি পূর্ব পোলতায় ইমান এবং ইসমাইলদের উপরে উপপ্রধান লোকজন রড ও বাঁশ দিয়ে হামলা চালায়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এই প্রতারণার ঘটনায় ইডি, পুলিশ, বিধায়ক, মুখ্যমন্ত্রী, সিবিআই, মানবাধিকার কমিশন এবং আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এরপর প্রতিবেশীরা এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ইমানের বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ইতিমধ্যে বসিরহাট পুলিশ তদন্ত শুরু করেছেন।
উপপ্রধানের সাথে যোগাযোগ করা না গেলেও স্ত্রীর দাবী, ‘‘জমি-জায়গা নিয়ে গোলমালের জেরে মারপিট হয়েছে। আর চাকরীর নাম করে টাকা নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সরাসরি এই প্রসঙ্গে কিছু না বললেও বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানান, ‘‘জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ বেঁধেছিল শুনেছি। অভিযোগও করা হয়। পুলিশ প্রশাসনকে অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দলীয় ভাবেও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।’’