নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ঝাড়খণ্ডঃ ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার কোসোগন্ডদিঘি গ্রামে চার মাসের এক শিশুকে পায়ের তলায় পিষে মারার অভিযোগ উঠলো পুলিশের বিরুদ্ধে। কিন্তু পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন ঘটনাটি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, শিশুটির ঠাকুরদা ভূষণ পাণ্ডের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি হওয়ার পর পুলিশ ভূষণবাবুকে ধরতে বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে পুলিশ দেখামাত্রই সপরিবারে বাড়ি ছেড়ে পালান। কিন্তু তাড়াহুড়োয় মেঝেতে থাকা ঘুমন্ত নাতিকে বাড়িতেই ফেলে রেখে চলে যান।
ওই সময় মেঝেতে শোয়ানো শিশুটি পুলিশবাহিনীর পায়ের নীচে চাপা পড়ে যায়। আর ভূষণবাবুকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশ ফিরে আসেন। শিশুটির মা নেহা দেবীর অভিযোগ, “বাড়িতে ফিরে দেখি শিশু নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে।” এরপর পরিবারের তরফে অভিযোগ তোলা হয় যে, “পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে না পেরে শিশুটিকে পায়ের তলায় পিষে মেরেছে।” এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির দেহ হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে শিশুটির পায়ের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে কি না তা এখনো অবধি স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বন্যা গুপ্ত এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, “এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যদি কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”